কাহারোল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মাসুদ রানা আবু তার কর্মস্থলে কর্তব্যরত অবস্থায় আনোয়ার হোসেন ইমরান নামে একজন যুবদল নেতার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় খাদ্য কর্মকর্তা জানান, তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ডিসি ফুডকে বিষয়টি অবগত করেছেন। গত বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কাহারোল উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন ইমরান কাহারোল উপজেলার যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং উপজেলা বিএনপির সদস্য বলে জানা গেছে।
মাসুদ রানা জানান, ৩ নং মুকুন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুজ্জামান লিমন খাদ্য বান্ধব উপকারভোগীর প্রাথমিক তালিকা কাহারোল খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে জমা দেন। পরবর্তী যাচাই-বাছাই করে যারা উপকারভোগীর তালিকার আওতায় পড়েনা এমন কয়েকজনের নাম বাদ পড়ার কারণে চেয়ারম্যান জাহিদুজ্জামান লিমন ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাথে থাকা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন ইমরানের নেতৃত্বে বিএনপি মোজাহার হোসেন ছাত্র নেতা মেজবাহুল হক, রাকিব ইসলাম, ইউপি সদস্যসহ প্রায় ২০-২৫ জনের একটি দল এ হামলা চালানোর পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনোয়ার ইমরান বলেন, আমি কাউকে লাঞ্চিত করিনি বা কোন ধরনের ঘটনাও ঘটেনি। সেখানে চেয়ারম্যানের সাথে খাদ্য কর্মকর্তার বাক-বিতণ্ডা চলছিল, আমি শুধু তাদের বিষয়টি সমাধান করেছি।
এদিকে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানি, ইতোপূবেও তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের নেতার কারনে বিএনপির আজ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তবে সব ধরনের দলীয় পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ আমরা সাংগঠনিকভাবে জেলা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কারও অপকর্মের দায় দল নেবে না
দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানের লোকজন আমার কর্মকর্তার সাথে খুব খারাপ আচরণ করেছে। যেহেতু পদাধিকার বলে ওই কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেজন্য তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোকলেদা খাতুন বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, ভুল বুঝাবুঝি মাত্র। ইতোমধ্যেই দু’পক্ষকে ডেকে সমাধান করা হয়েছে।
কেকে/ আরআই