দলীয় নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজালাল সরকার ও সদস্য নাজমুল হোসেন টাইগারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সভাপতি রায়হান কবির ও সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো অপকর্মের দায় দল নেবে না এবং যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ৩০ বছর আগে আব্দুল কাদের নামের এক ব্যক্তি আয়নাল হকের কাছে আট শতক জমি বিক্রি করেন। পরবর্তীতে আয়নাল হক জমিটি তার ছেলে চান মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু আট শতকের জায়গায় ১৬ শতক জমি দখলের চেষ্টায় চান মিয়া যাদুরচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজালাল সরকার ও সদস্য নাজমুল হোসেন টাইগারসহ ১০-১২ জনকে ভাড়া করেন।
গত ২০ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে কোমরভাঙ্গী মধ্যপাড়া সাহিদা মোড় এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে জোরপূর্বক টিনের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেন শাহজালাল ও নাজমুল। গ্রামবাসী বাধা দিলে তারা দলীয় পরিচয়ে ক্ষমতার দাপট দেখান। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে স্থানীয়রা ধাওয়া করলে তারা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। এ সময় সামাদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে গ্রামবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সামাদকে উদ্ধার করে।
অব্যাহতির বিষয়ে জেলা যুবদল সভাপতি রায়হান কবির বলেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে এছাড়া আমরাও দলীয় নেতাকর্মীর মাধ্যমে যেসব অভিযোগ পেয়েছি এবং গ্রামের লোকজন যেসব বলছেন তা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। কেন্দ্রীয় বিষয়টি জানেন। এ ঘটনার দায় কখনও দল নেবে না। আর আমরা ৫ তারিখের পর যুবদলের সকল ইউনিটকে বলেছি, ফ্যাসিস্টরা যা করে গেছে, বিএনপি সেটি বিশ্বাস করে না, করতেও রাজি না। অতএব যুবদল করো, তোমরা জনগণের পাশে দাঁড়াও, তোমরা দলের কাজ করো। ধানের শীষকে মানুষের মনে আনতে হবে, ধানের শীষকে জয়ী করতে হবে, সংসদে পাঠাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কারো জমি দখল করা আমাদের দায়িত্ব না। এর জন্য কোর্ট আছে, মামলা হবে, পুলিশ আছে। এটাতো আমাদের কাজ না। কোনো ছেলে চাঁদাবাজি বা কোনো বাজে কাজে গেলে এটা আমরা কোনোভাবে বরদাস্ত করবো না।
কেকে/ আরআই