কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রীকে লাঠিপেটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার ২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে জেলায় চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ অক্টোবর রাতে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামে, তবে বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারীকে রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে ইউপি সদস্য বজলুর রহমান লাঠিপেটা করছেন। পাশেই আরও একজন পুরুষকে বেঁধে রাখা হয়েছে। নির্যাতনের সময় ওই নারী চিৎকার করে “বাবা বাবা” বলতে শোনা যায়।
জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ প্রবাসী রতন মিয়ার স্ত্রী। তাকে জোর করে তারা পুষ্করুণী গ্রামের বিল্লাল মিয়ার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বজলুর রহমান শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারী ও বিল্লালের অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে ১৬ অক্টোবর রাতে তাদের আটক করে গ্রামবাসী। পরে বজলুর রহমান উপস্থিত হয়ে গৃহবধূকে লাঠিপেটা করেন। ১৭ অক্টোবর সকালে তার নেতৃত্বে সালিশে বসে ৫ লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বজলুর রহমান বলেন, ওই মহিলা আমার ভাতিজার স্ত্রী। পার্শ্ববর্তী তারা পুষ্করুণী গ্রামের যুবক বিল্লাল মিয়ার সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক অনেক দিন ধরে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে স্থানীয় গ্রামবাসী তাদেরকে অনৈতিক কাজে হাতেনাতে আটক করে আমাকে খবর দেয়। আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে ওই নারীকে কয়েকটি আঘাত করি। পর দিন শুক্রবার স্থানীয় লোকজনসহ সালিশ করে তাদেরকে ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে দেওয়া হয়। আমাকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিল্লাল এর আগে বিবাহিত ছিলেন। তার সংসারে স্ত্রী ও চারটি মেয়ে রয়েছে। এছাড়াও নির্যাতনের শিকার প্রবাসীর স্ত্রীও দুই সন্তানের জননী।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইউপি সদস্য কর্তৃক প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের একটি ভিডিও আমাদের নজরে এসেছে। সতত্য যাচাই করে এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেকে/ আরআই