রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫,
২৭ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা      
দেশজুড়ে
নবীনগরের কালিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট চরমে
মো. আমজাদ হোসেন, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: রোববার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:০৮ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ১৫৫ নম্বর কালিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট তৈরি হয়েছে। এতে পাঠদান কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৬০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত থাকলেও শিক্ষক আছেন মাত্র দুইজন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এ সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য অন্তত পাঁচজন শিক্ষক থাকা প্রয়োজন।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ে যোগ দেন শিক্ষক ইমরান হোসেন। যোগ দিলেও তিনি এখনও বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। তিনি নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অফিস সহায়ক (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে কাজ করেন।

বর্তমানে বিদ্যালয়ে মাত্র দুইজন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মিন্টু মিয়াকে অফিসের প্রয়োজনে প্রায়ই উপজেলা শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। ফলে একজন শিক্ষককে একাই তিনটি শ্রেণির পাঠদান সামলাতে হচ্ছে। এতে শ্রেণিকক্ষের শৃঙ্খলা ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

এ নিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অভিযোগ করেছেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদাসীনতার কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

মো. মিন্টু মিয়া বলেন, ‘বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট এখন চরম পর্যায়ে। একদিকে শিক্ষক কম, অন্যদিকে বদলিকৃত শিক্ষক যোগ দিয়েও স্কুলে আসছেন না। অভিভাবক ও স্থানীয়দের চাপের মুখে আছি। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানানো হয়েছে।’

অভিভাবক আব্দুল করিম বলেন, ‘শুনেছি একজন নতুন শিক্ষক যোগদান করেছেন। কিন্তু তিনি এখনও স্কুলে আসেননি। এতে আমাদের সন্তানদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য গোলাম হোসেন বলেন, ‘মাত্র দুইজন শিক্ষক দিয়ে ১৬০ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা চালানো অসম্ভব। একজন শিক্ষক অফিসে গেলে অন্যজনকে একাই সব শ্রেণির দায়িত্ব নিতে হয়। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’

এ বিষয়ে বদলিকৃত শিক্ষক ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশে অফিসে কাজ করছি।’

নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জনবল সংকট রয়েছে। সেই কারণে সাময়িকভাবে ঐ শিক্ষককে অফিসে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কেকে/ এমএ
আরও সংবাদ   বিষয়:  নবীনগর   কালিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়   শিক্ষক সংকট  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ
ইমপোর্টার-এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে : তানভীর হুদা
রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

সর্বাধিক পঠিত

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে চরম দুর্নীতি ও অনিয়ম
রাজশাহীতে চার পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ
চলনবিলে পাখি শিকারের ফাঁদ ধ্বংস, বক ও ঘুঘু উদ্ধার
আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close