রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানার মিরকামারি এলাকায় চারটি পরিবারকে চরম হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সিরাজুল ইসলাম কালু, তার ভাই সাবেক ডিবি এসআই হাসানের সোর্স ও সাবেক আওয়ামী লীগ কর্মী মেরাজ এবং বাবলুর বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি কালু ও মেরাজের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
মো. গোলাম মুর্তুজা, আবুল হোসেন, মো. মিলন ও শরিফুল ইসলাম সাদেরের অভিযোগ, চলাচলের রাস্তায় প্রাচীর তুলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন কালু ও মেরাজ। ওই ঘটনায় ভুক্তোভোগী শহীদ নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় কালুর সহযোগী বাবলুকে বিবাদী করা হলেও প্রাণভয়ের কারণে মেরাজের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আদালতের নির্দেশে কাটাখালী থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। পরে স্থানীয় নেতা ও গণ্যমান্যরা প্রাচীরটিকে অন্যায় বিবেচনায় ভেঙে রাস্তাটি উন্মুক্ত করেন।
অভিযোগ রয়েছে, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কালু ও মেরাজ বাদী শহীদের মামী ফাইমাকে রামদা দিয়ে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, মেরাজের নানা কর্মকাণ্ড সম্পর্কে থানা পুলিশ অবগত থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। বরং সম্প্রতি মেরাজের তদবিরে বালুর স্ত্রীর দায়ের করা একটি অভিযোগ থানা কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে, যা ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এর আগেও কালু ও মেরাজের বিরুদ্ধে আবুল হোসেনের সীমানা প্রাচীর ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে একাধিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু ভুক্তভোগীরা থানায় গেলে ওসি তাদের মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, থানায় কালু ও মেরাজের অবাধ যাতায়াত এবং পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এখন চোখে পড়ার মতো। একইসঙ্গে মেরাজের বাবা শাহাদ আলীকে গাঁজা ব্যবসায়ী দাবি করে স্থানীয়রা বলেন, পুলিশের সোর্স হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কখনও কোনো অভিযান চালানো হয় না।
এই অভিযোগগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে মেরাজ নিজেকে টাঙ্গাইলে অবস্থান করছেন বলে দাবি করেন এবং সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাটাখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মতিন প্রথমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। পরে বলেন, মিরকামারি এলাকার মেরাজ নামের কোনো সোর্সের সাথে পুলিশের সখ্যতার বিষয়টি তার জানা নেই। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে বলে ওসি দাবি করলেও, শাহাদ আলীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে তিনি কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেননি।
কেকে/ আরআই