মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় বৃদ্ধ আ. ছামাদ হত্যা মামলার দুই আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ খালেদা ইয়াসমিন ঊর্মি এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন নূর মোহাম্মদ খান ওরফে নুরু ও মো. আইয়ুব খান। তারা সিরাজদিখান উপজেলার উত্তর বাসাইল গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত আসামী নূর মোহাম্মদ খান ওরফে নুরুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং আসামী মো. আইয়ুব খানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এ সময় আসামীরা আদালতে হাজির থাকলে তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এই আদেশের পরে নিহতের ছেলে শাওন খান অভিযোগ করেন, আদালত হতে আসামীদের পুলিশ হেফাজতে কারাগারে নেওয়ার পথে আদালতের বারান্দায় তাকে আসামী নুরু ও তার বোন বাপ্পি মিলে মারধর করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামীরা ২০১৭ সালের ৪ জুন সিরাজদিখানের ইমামগঞ্জ বাজারে যাওয়ার পথে বাড়ির উত্তর পাশে রাস্তায় পৌছালে আ. ছামাদকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
আ, ছামাদ সিরাজদিখানের রাঙামালিয়া গ্রামের মৃত হাছেন উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় ৩ জনকে এজাহার নামীয় ও ২-৩জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করলে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে আদালত আজ মামলার দুই আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমার বাবাকে কুপিয়ে খুন করছে ওরা। আজ আদালত দুিইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদেশ দেওয়ার পরে ওরা আমার ভাই শাওনকে আদালতে মারধর করেছে। আমি ওদের ফাসিঁ চাই।’
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নাসিমা আখতার বলেন, ‘আদালত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও প্রমাণের ভিত্তিতে আজ মামলার দুই আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। আমি রাষ্ট্র পক্ষ আদালতের এই আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।’
কেকে/এমএ