সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
খোলা মত ও সম্পাদকীয়
প্রাণী বাঁচাও, পৃথিবী বাঁচাও
ড. মো. আনোয়ার হোসেন
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:২৮ এএম
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

দুনিয়াজুড়ে ৪ অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব প্রাণী দিবস এবং এটি প্রাণী অধিকার ও কল্যাণ উদযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক অনুষ্ঠান। ৪ অক্টোবর ২০২৫ সাল বিশ্ব প্রাণী দিবসের ১০০তম বার্ষিকী। ২০২৫ সালের বিশ্ব প্রাণী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রাণী বাঁচাও, গ্রহ বাঁচাও!’। এই প্রতিপাদ্যটি প্রাণী ও পৃথিবী নামক গ্রহের মধ্যেকার গভীর সম্পর্ককে বোঝায়, যেখানে একটির সুরক্ষা অন্যটির জন্য অপরিহার্য। ১৯২৯ সালে প্রথমবারের মতো এ দিবসটি ৪ অক্টোবর পালন করা হয়। বিশ্ব প্রাণী দিবস জনপ্রিয়করণের জন্য জিম্মারমেন প্রতি বছর নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। 

অবশেষে, ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রাণী সুরক্ষা কংগ্রেসে তার উত্থাপন করা প্রস্তাবমতে ৪ অক্টোবরকে বিশ্ব প্রাণী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এটা কখনো কখনো বলা হয়ে থাকে যে, ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে বাস্তুসংস্থানবিদের এক সম্মেলনে সংকটাপন্ন প্রজাতিদের সবার দৃষ্টিগোচর করতে বিশ্ব প্রাণী দিবসের প্রচলন করা হয়। এ সময়ে বিশ্ব প্রাণী দিবস একটি বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যেটাকে ২০০৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রাণী কল্যাণ চ্যারিটি নেতৃত্ব এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।

প্রাণী হলো বহুকোষী এবং সুকেন্দ্রিক জীবের একটি বৃহৎ গোষ্ঠী। এরা অ্যানিম্যালিয়া বা মেটাজোয়া রাজ্যের অন্তর্গত। পৃথিবীর প্রথম প্রাণী কী ছিল, এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে, তবে স্পঞ্জ এবং চিরুনি জেলি (ঈড়সন ঔবষষু) সম্ভাব্য প্রথম প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যারা প্রায় ৫৪ কোটি বছর আগের ক্যামব্রিয়ান যুগ-এর কাছাকাছি সময়ে বিবর্তিত হয়েছিল। ডিকিনসোনিয়া নামের একটি উপবৃত্তাকার প্রাণীর জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৫৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াত বলে মনে করা হয়, কিন্তু এটিই প্রথম প্রাণী কিনা বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন পৃথিবীতে মোট আনুমানিক প্রাণীর সংখ্যা প্রায় ৭.৭৭ মিলিয়ন হতে পারে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১.৫ মিলিয়ন প্রজাতির প্রাণীর বর্ণনা ও নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই ১.৫ মিলিয়ন প্রজাতির মধ্যে রয়েছে প্রায় ১.০৫ মিলিয়ন কীটপতঙ্গ। ৮৫,০০০-এর বেশি মোলাস্ক (শামুক, ঝিনুক ইত্যাদি)। প্রায় ৬৫,০০০ মেরুদণ্ডী প্রাণী (মাছ, উভচর, সরীসৃপ, পাখি, স্তন্যপায়ী)। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং আরো অনেক অজানা প্রজাতি এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। প্রাণী প্রজাতি গণনায় পোকামাকড়কে সবচেয়ে বড় গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাণীদের দুটি প্রধান দল হলো মেরুদণ্ডী (যারা মেরুদণ্ডী প্রাণী) এবং অমেরুদণ্ডী প্রাণী। 

প্রতিটি প্রাণী, উদ্ভিদ বা অণুজীব একটি বাস্তুতন্ত্রের অংশ এবং একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। একটি প্রজাতির বিলুপ্তি পুরো খাদ্য শৃঙ্খলকে বিঘ্নিত করতে পারে। বিভিন্ন ধরনের প্রাণী পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেমন কিছু প্রাণী পরাগায়নে সাহায্য করে, আবার কিছু প্রাণী ক্ষতিকারক পোকামাকড়ের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা। অনেক প্রাণীর মধ্যে এমন বৈশিষ্ট্য থাকে যা থেকে ভবিষ্যতে মানুষের জন্য নতুন ওষুধ বা চিকিৎসার উপায় আবিষ্কৃত হতে পারে। 

প্রাণী এবং উদ্ভিদ থেকে আমরা খাদ্য, বস্ত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাই। বন্যপ্রাণীরা প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং পর্যটনশিল্পকে উন্নত করে। বিভিন্ন প্রকারের জীব থাকার ফলে জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি পায়, যা পরিবেশের সহনশীলতা বাড়ায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমিয়ে দেয়। কিছু প্রাণী মাটি ও পরিবেশকে উর্বর করে তোলে, যা উদ্ভিদ জন্মানোর জন্য অপরিহার্য। সংক্ষেপে, প্রতিটি প্রাণীই একেকটি নির্দিষ্ট কাজ করে এবং তাদের অস্তিত্ব একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, যা পুরো পৃথিবীর জীবন ধারণ প্রক্রিয়াকে সম্ভব করে তোলে। 

বিখ্যাত ব্যক্তিগণ প্রাণীদের ভালোবাসার ওপর তাদের মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেছেন। তন্মধ্যে কিছু উক্তি নিম্নে যুক্ত করা হলো ‘যতক্ষণ না কেউ একটি প্রাণীকে ভালোবাসে, ততক্ষণ তার আত্মার একটি অংশ অচেতন থাকে।’ ‘পশুর প্রতি তার আচরণ দেখে আমরা একজন মানুষের হৃদয় বিচার করতে পারি।’ ‘প্রাণীরা এতটাই বন্ধুত্বপূর্ণ তারা কোনো প্রশ্ন করে না; তারা কোনো সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে যায় না।’ ‘মানুষের সবচেয়ে মহৎ গুণ হলো সব জীবের প্রতি ভালোবাসা।’ ‘যদি আত্মা থাকার অর্থ ভালোবাসা, আনুগত্য এবং কৃতজ্ঞতা অনুভব করা, তাহলে প্রাণীরা অনেক মানুষের চেয়ে ভালো।’ ‘আমাদের নিখুঁত সঙ্গীদের কখনো চার পায়ের কম থাকে না।’ 

প্রাণীদেহের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘সকল জীবন্ত প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা মানুষের সবচেয়ে মহৎ গুণ’ এবং স্টিভ আরউইন উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা পৃথিবী গ্রহের মালিক নই, আমরা এর মালিক। এবং আমাদের অবশ্যই এটি আমাদের বন্যপ্রাণীর সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে’। এ ছাড়া একটি উক্তি অনুসারে, ‘একটি কুকুরের সবচেয়ে বড় আনন্দ হলো যে আপনি তার সঙ্গে নিজেকে বোকা বানাতে পারেন এবং সে কেবল আপনাকে তিরস্কার করবে না, বরং সে নিজেকেও বোকা বানাবে’। 

‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’ এই উক্তিটির অর্থ হলো, যে ব্যক্তি সকল জীবের প্রতি ভালোবাসা ও দয়া প্রদর্শন করে, সেই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর সেবা করে, কারণ সব জীবই ঈশ্বরের সৃষ্টি এবং জীবের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করলে তা ঈশ্বরেরই আরাধনা হয়। এটি স্বামী বিবেকানন্দের একটি বিখ্যাত উক্তি যা মানবসেবার মাধ্যমে ঈশ্বরকে খোঁজার ওপর জোর দেয়, যা তার ‘সখার প্রতি’ কবিতার শেষাংশে রয়েছে। ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা তাদের পৃথিবীর এক অসাধারণ প্রাণীতে পরিণত করেছে।

সৃষ্টিকর্তা এই জগৎ ও তার সব জীবকে তার নিজের সৃষ্টি হিসেবে তৈরি করেছেন। তাই, জীবদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানো মানেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানো। ঈশ্বর নিজে তার সৃষ্টির মধ্যেই নিজেকে প্রকাশ করেন। তাই, জীবদের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা ও সেবা করার মাধ্যমেই আমরা পরোক্ষভাবে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করি। 

পবিত্র কুরআন অনুযায়ী, আল্লাহতায়ালা মানুষসহ সব প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহারযোগ্য করে দিয়েছেন, যার মাধ্যমে মানুষের জীবন ও দুনিয়াকে সুশোভিত করা হয়েছে। গবাদিপশুরা মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়, তবে আল্লাহ তাদের প্রতিও মানুষের প্রতি দয়া এবং দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে ‘আনআম’ (গবাদিপশু) নামে একটি সূরা রয়েছে, যেখানে গবাদিপশুদের মানবজাতির কল্যাণে ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

এ ধাপে যোগ করছি বিশ্বস্ততার এক দারুণ উদাহরণ, যা হাচিকো নামের জাপানি কুকুরটির এবং ছোট্ট সাদা বিড়ালের গল্প। 

১। হাচিকো ছিল একটি আকিতা ইনু প্রজাতির কুকুর, যা জাপানের একটি বিখ্যাত কুকুর প্রজাতি। তার মালিক হাচি, যিনি ছিলেন একজন অধ্যাপক, প্রতিদিন ট্রেনে করে কাজের জন্য যেতেন এবং সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতেন। হাচিকো প্রতিদিন তাকে স্টেশনে বিদায় জানাতো এবং সন্ধ্যায় আবার স্টেশনে এসে অপেক্ষা করত তার মালিকের জন্য। একদিন অধ্যাপক তার কর্মস্থলে থাকাকালীন মারা যান। হাচিকো জানত না তার মালিকের মৃত্যুর কথা, তাই সে প্রতিদিনের মতোই সন্ধ্যায় স্টেশনে এসে অপেক্ষা করত। মালিকের মৃত্যুর পরও হাচিকো প্রায় নয় বছর ধরে প্রতিদিন সেই স্টেশনে অপেক্ষা করেছে। তার এই বিশ্বস্ততা ও প্রভুভক্তি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে এবং সে ইতিহাসের পাতায় এক অমর হয়ে থাকে। 

২। “একটি ছোট্ট, সাদা বিড়াল যার নাম ছিল ‘সাদা’, একটি নিঃসঙ্গ বৃদ্ধার একমাত্র সঙ্গী ছিল। একদিন, বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়লে, সাদা বিড়ালটি প্রতিবেশীদের কাছে ছুটে গিয়ে ‘মিউ মিউ’ করে আওয়াজ করে তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তার আচরণ দেখে প্রতিবেশীরা বুঝতে পারে যে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। তারা দ্রুত বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। বৃদ্ধা সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পর বুঝতে পারে যে তার বিশ্বস্ত বিড়ালটিই তাকে জীবন দান করেছে। সেদিন থেকে তাদের সম্পর্ক আরো গভীর হয়।’

এ স্তরে আমার ছেলেবেলার সহচর প্রাণীটিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করছি। আমাদের কুকুরটির আখ্যা ছিল টাইগার। আমাদের নিবাস জেলার প্রান্তিক। সংলগ্ন জেলার পুলিশ অপরাধীদের দমনে অপারেশন চালনা করলে, আমাদের আশপাশ তারা আত্মগোপনের নিমিত্ত আসত। মূলত নৈশকালীন তারা বিচরণ করত। এইজন্য আমরা শঙ্কিত ছিলাম। আমাদের এই পোষা কুকুরটি যোগ্য প্রহরী হয়ে উঠেছিল। পত্র পল্লবও যদি ঝড়ো হাওয়ায় প্রচণ্ড শব্দ করত, আমাদের পোষা প্রাণী গর্জন করতে থাকত। তখন গ্রামে গঞ্জে আমাদের জেলার আঞ্চলিক ভাষায় বেলা বিস্কুট নামক এক এক প্রকার বিস্কুট পাওয়া যেত। আমি কুকুরটিকে ওই বিস্কুট আহার করাতাম। 

একদা দুষ্কৃতকারী বিদ্বেষবশত কুকুরটির ঘাড়ে গরম তেল বা অ্যাসিড ছুড়ে মারে। আমার ফুফাতো ভাই/খুড়তুতো ভাই ডক্টর আবুল কাশেম শুশ্রুষা করলে নিরাময় হয়। কিছু দিন পর কোন এক নিষ্ঠুর ব্যক্তি কুকুরটিকে পাউরুটির সঙ্গে সুই খাইয়ে দেয় এবং কুকুরটি নিধন হয়। যে কারণে আমাদের পরিবার শোকের ছায়ায় পতিত হয়েছিল। হৃদয়ের রক্তক্ষরণ কি সত্তা আমার অজানা, তবে এ অঘটনে আমার যেন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। এখনো বিষয়টি আলোচনা শুরুর মুহূর্তেই, আমরা আবেগ আপ্লুত হই।

আমাদের স্মরণে রাখা উচিত নয় কি, মানুষকে যেমন আঘাত করলে সে কষ্ট পায়। পশু পাখিদের বেলায়ও উহা প্রযোজ্য। তারাও রক্তমাংসে গঠন। তাদেরও সুখ আছে, দুঃখ আছে, আনন্দ ও বেদনা আছে। পশুদের চাহিদা মানুষের মতো এত বেশি নয়। দু-একটা বিস্কুট খাওয়ালে তারা তুষ্ট। তাই প্রাণীদের প্রতি কখনো নির্মমতা বা নিষ্ঠুরতা করা উচিত কি?

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিড়াল কুকুরের মতোই অনুগত। তারা মানুষের সঙ্গে বন্ধন তৈরি করে এবং তাদের সঙ্গীর প্রতি মনোযোগ দেয়। বিড়ালের সান্নিধ্য এবং তাদের শান্ত ঘড়ঘড় শব্দ মানুষের মানসিক চাপ কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। 

বাংলাদেশে পশু নির্যাতন প্রতিরোধে প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯ রয়েছে, যা ২০১৯ সালে প্রণীত হয়েছিল এবং এটি আগের শতবর্ষী প্রাণি-নির্যাতন আইনকে বাতিল করেছে। এ আইনের অধীনে পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, তবে আইনটি কার্যকরভাবে প্রয়োগ না হওয়ায় এবং জনসচেতনতার অভাবে এর ব্যবহার সীমিত। পশু অধিকার কর্মীরা আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন।

প্রাণীদের কল্যাণে বাংলাদেশ সরকারের উচিত প্রাণী কল্যাণ আইনের কার্যকর প্রয়োগ, প্রাণী অধিকার সংগঠনগুলোকে সহায়তা, জাতীয় প্রাণী হেল্পলাইন চালু করা, বন্যপ্রাণী ও গৃহপালিত পশুর সুরক্ষায় নতুন নীতিমালা তৈরি করা এবং প্রাণী স্বাস্থ্য ও গবেষণা জোরদার করা। এর মাধ্যমে দেশে প্রাণী সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। পরিশেষে বিশ্ব প্রাণী দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্যের সঙ্গে একমত হয়ে আওয়াজ তুলতে চাই, প্রাণী বাঁচলে বিশ্ব বাঁচবে। 

 লেখক : প্রাবন্ধিক ও কথা সাহিত্যিক 

কেকে/ এমএস
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
পাল্লা বাজারে রক্তলাল শাপলার মনভোলানো সমাহার
নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে : তানভীর হুদা

খোলা মত ও সম্পাদকীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close