বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রাহুতপাড়া কাঠিরা দুই গ্রাম সংলগ্ন খাল। খালের উপর দিয়ে বয়ে গেছে কাঠের সাঁকো। এই কাঠের সাঁকো দিয়েই প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে ইউনিয়নের ৭ গ্রামের শত শত মানুষের।
রাহুতপাড়া-কাঠিরা সংলগ্ন ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার প্রশান্ত রায়ের বাড়ি রোগী ও স্বজন, মিশন স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক, শ্রীশ্রী হরি ঠাকুরের মন্দিরের ভক্তবৃন্দসহ ৫-৭টি গ্রামের কয়েক শত মানুষ চলাচল করেন। এ ৫-৭টি গ্রামের মানুষের সংযোগ স্থল বা সেতুবন্ধন একমাত্র কাঠ-বাঁশের সেতটিু।
এলাকাবাসী জানান, ব্রিজটির পূর্ব ও পশ্চিম দিকে প্রায় ৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোন ব্রিজ নেই। গ্রামের যুব সমাজ প্রতি বছর এই ব্রিজটি সংস্কারের উদ্দ্যোগ নিয়ে মেরামত করেন। সম্প্রতি পূজায় লোকজন সুন্দরভাবে চলাচল করার জন্য গ্রামের যুব সমাজ সংস্কার করেন। বহু স্থানে কাঠের পাটাতন দেওয়া হলেও লোকজন যাতায়াতে সাঁকোটি হেলে হয়ে পড়ে। এছাড়াও কাঠের পাটাতন ঢিলে হয়ে পড়েছে, কোথাও আবার খুলে গেছে। ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ হালকা যান চলাচলে না করার জন্য সাঁকোর দুই পাশে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। তবে বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।
প্রশান্ত রায় বলেন, ‘আমাদের এই অঞ্চল দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। মহিলা, বৃদ্ধ ও শিশুরা চলাচল করতে পারে না। এলাকাবাসীর দাবি- আমাদের একটি ব্রিজ হলে নির্বিঘ্নে আমরা যাতায়াত করতে পারতাম।’
গ্রামের লিমন সরদার বলেন, ‘রাতে টর্চ লাইট নিয়ে পা টিপে টিপে চলতে হয়। এত বছর ধরে এই অবস্থায় আছি। কৃষিপণ্যের বাজারজাত, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।’
আগৈলঝাড়া এলজিডি নির্বাহী প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমার যাওয়া নেই। ওখানে যদি একান্তই প্রয়োজন, তাহলে আমাদের কাছে লিখিত আবেদন দিলে আমরা পর্যালোচনা করে ব্রিজের নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
কেকে/এমএ