আধুনিকায়ন হলো দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) টিচার্স-স্টুডেন্টস সেন্টার (টিএসসি)।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্ল্যা আধুনিকায়িত টিএসসির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম জাহাঙ্গীর কবির।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. এসএম এমদাদুল হাসান।
সঞ্চালনায় ছিলেন ক্রপ ফিজিওলজি এন্ড ইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ। এছাড়াও প্রক্টর, ট্রেজারার অন্য শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
৫ তলা বিশিষ্ট টিএসসির নিচতলার দক্ষিণ পাশে শিক্ষার্থীরা বসে, যেখানে গ্রুপভিত্তিক কাজ, অ্যাসাইনমেন্ট প্রস্তুত ও আলোচনাসহ নানা কাজ করে থাকেন। সেখানেই আধুনিকায়নের কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। বিগত সময়ে সেখানে চেয়ার, টেবিল ও ফ্যানের সংকট ছিল। আর হরহামেশাই ছিল কুকুরের আনাগোনা। তবে এখন আর মান্ধাতার অবস্থায় থাকছে না হাবিপ্রবির টিএসসি। আধুনিকায়ন হয়েছে কক্ষটির। যেখানে উন্নতমানের টেবিল দেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে প্রয়োজনীয় চেয়ার। গরমেও করতে হবে না হাসফাস। কারণ আধুনিকতার উৎকর্ষতা সাধনে কক্ষটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে । শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষটি ধুলোবালি মুক্ত রাখতে জুতা খুলে আধুনিক এই কক্ষটিতে ঢুকতে হব। সেখানে পানির ফিল্টারও দেওয়ার কথা বলেছেন উপাচার্য। সেইসাথে ছেলেদের এবং মেয়েদের পৃথক শৌচাগার সংস্কারের কথা বলেছেন।
অনুষ্ঠানে মো. এনামউল্ল্যা বলেন, ‘আগে তোমরা এখানে গরমে কষ্ট করে গ্রুপভিত্তিক কাজ করতে।সেখানে ধুলোবালি থাকতো, হরহামেশাই কুকুর আসতো। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির এমন পরিবেশ সত্যি অস্বস্তিকর বিষয়। তাই তোমাদের উন্নত পরিবেশ দিতে এবং একাডেমিক ও গবেষণার গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কক্ষটি আধুনিক করা হয়েছে। তোমরা এখানে নিয়মিত পড়াশোনা করবে, গ্রুপভিত্তিক কাজ করবে। তোমাদের জন্য যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কক্ষটির আধুনিকায়ন হয়েছে তার যথাযথ ব্যবহার করবে এবং মর্যাদা রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিবেশ সমুন্নত রাখতে একজন তদারক থাকবেন যিনি সকাল ৯ টায় কক্ষটি খুলে দিবেন এবং রাত ১১ টায় বন্ধ করে দিবেন। তোমাদের সুন্দর পরিবেশের কথা বিবেচনা করে কক্ষটি আধুনিক করা হয়েছে। আশা রাখছি, তোমরা তার মর্যাদা রাখবে। ভবিষ্যতে তোমাদের ক্যাফেটেরিয়াও উন্নত করা হবে। যেখানে তোমরা গুণগত মানের খাবার পাবে।’
টিএসসির এমন আধুনিকায়নে শিক্ষার্থীরাও সন্তুষ্ট। তারা বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবিষ্যতেও যেন শিক্ষার্থীবান্ধব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখে। বর্তমানে রাস্তার কাজ চলছে। প্রত্যাশা থাকবে-রাস্তাগুলো কাঁচা রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সেগুলোও পাকা করা হবে।’
কেকে/ এমএ