জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে। উত্তেজনা যেন আরও বাড়িয়ে দিলেন জাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
‘আমরা জীবন দিয়ে জাকসু বাস্তবায়ন করতে দায়বদ্ধ নই’—প্রার্থীদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় প্রার্থীদের বক্তব্যের জবাবে এমন মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে জাকসু নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান।
আলোচনা সভায় ডোপ টেস্ট, সাইবার বুলিং, ভোটার লিস্ট, ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন ও লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ নানা বিষয়ে প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করেন নির্বাচন কমিশন।
আলোচনার এক পর্যায়ে জাকসুতে বাগছাস নেতৃত্বাধীন ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ -এর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যে তিনি নির্বাচন কমিশনকে ‘ইনএফিশিয়েন্ট’ (অদক্ষ) বলে মন্তব্য করেন। তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়ামের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মরে গিয়ে নির্বাচন করতে দায়বদ্ধ নই। দেশে এমন কোনো আইন নাই যেখানে লেখা আছে নির্বাচন কমিশন বাধ্য হবে জীবন দিয়ে জাকসু বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা বাধ্য নই।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে মতবিনিময় সভা ওয়াকআউট (বয়কট) করেন বাগছাস নেতৃত্বাধীন ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ -এর একাংশ। এসময় সভায় ব্যাপক গোলযোগ সৃষ্টি হয়।
ওয়াকআউটের ব্যাপারে ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ -এর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ফারহানা বিনতে জিগার বলেন, “যেহেতু প্রধান নির্বাচন কমিশনার মরে গিয়ে জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব নিতে পারবেন না, সেহেতু আমাদের এই সভায় থাকা কোনো গুরুত্ব বহন করে না। তার এই মন্তব্য দায়িত্বহীনতার বহিঃপ্রকাশ। এই নির্বাচন কমিশন থেকে আমরা ভালো কিছু আশা করতে পারি না। তাই আমাদের জোটের অনেক প্রার্থী সভা ওয়াকআউট করেন।”
কেকে/এজে