ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনের রোডম্যাপের দাবিতে ‘মার্চ ফর ইকসু’ কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতাবৃন্দ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে একত্রিত হয় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে সেখান থেকে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করতে যান তারা।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ছাড়াও সভাকক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামাম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব, ছাত্রশিবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাদেক খান, ইকসু গঠন আন্দোলনের বোরহান উদ্দিন, রাকিবুল ইসলাম, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতাবৃন্দ।
ছাত্র সংসদ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনতন্ত্রে ছাত্র সংসদ আইন থাকায় তা করা সহজ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু আইনগত অনুমোদন নেই সেহেতু এটা কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমি ছাত্রদের সাথে আলাপ করবো বলেছিলাম। তবে ছাত্র সংসদ যদি আইনগত ভাবে না হয় সেক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সেন্ট্রাল বাজেট হয়, সেখানে ডাকসুর বাজেট হয় এবং ডাকসুর প্রত্যেক সম্পাদকের বিপরীতে বাজেট আছে। এ বাজেট দেওয়ার জন্য একটা লিগ্যাল সেটেলমেন্ট দরকার। এটা একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া।
তিনি ছাত্র সংসদ গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে বলেন, ইকসু ছাত্রদের দাবী। অবশ্যই এই দাবী পূরণ করবো। বর্তমানে ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট অনেক আইন করেছেন। আমরা পার্লামেন্টের অপেক্ষা না করে এই আইন অনুযায়ী যেভাবে আগাতে পারি সেটা হলো, শিক্ষকদের মধ্যে থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এবং ছাত্রদের মধ্যে থেকে কয়েকজন নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল গঠন করে একসাথে কাজ করবে। বাকি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের জন্য যে গঠনতন্ত্র আছে সেটি এনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের জন্য একটি গঠনতন্ত্র তৈরি করবে। সেটি সিন্ডিকেটে অনুমোদন হলে ইউজিসিতে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। ইউজিসিতে শিক্ষক এবং ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব দলকে যোগাযোগের সুযোগ করে দিবো। অনুমোদন হয়ে গেলে সেখান থেকে এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাবে। তারপর কেবিনেটে গেলে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ আইন পাশ হয়ে যাবে।
কেকে/ এমএস