গুচ্ছভুক্ত ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তি শেষে শুরু হয়েছে ক্লাস। তবে ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো প্রায় ৫০০ আসন খালি আছে। এটি নজরে এনে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন চালু জন্য আবেদন করেছেন।
রোববার (১৭ আগস্ট) ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ এক বিবৃতিতে এসব জানান, ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করেই ভর্তি করা হয়েছে এবং মাইগ্রেশন বন্ধ করা হয়েছে। তাই ভর্তিকৃত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন প্রদান করা সমীচীন হবে না। জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অপেক্ষমান তালিকা হতে মেধাক্রম অনুযায়ী শুন্য আসনগুলো পূরণ করা হবে।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভাইস-চ্যান্সেলরগণদের নিয়ে গঠিত ভর্তি কমিটির ২০তম সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা মোতাবেক ভর্তির পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে একটি বিবৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে এতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা (২০২৪-২০২৫) এর ভর্তির আবেদন ও ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশিকায় এ মর্মে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, ‘আসন শূণ্য থাকা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ চার বার অপেক্ষমান তালিকা হতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য আহ্বান করা হবে।’ সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তি ব্যতীত চারটি মাইগ্রেশন অর্থাৎ ভর্তিসহ মোট পাঁচটি পর্যায় সম্পন্ন হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ১১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ক্লাস শুরু হয়েছে। অদ্যবধি গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচশত আসন শূণ্য রয়েছে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে ভর্তির পাঁচটি পর্যায় সম্পন্ন এবং ক্লাস শুরু হওয়ায় ভর্তিকৃত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন প্রদান করা সমীচীন হবে না।
এতে আরো বলা হয়, এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অপেক্ষমান তালিকা হতে মেধাক্রম অনুযায়ী শুন্য আসনগুলো পূরণ করা হবে। সেক্ষেত্রে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিষয় মাইগ্রেশন চালু থাকবে। শূণ্য আসনগুলোতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীবৃন্দ ঘোষিত সিডিউল অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
কেকে/এআর