বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫,
৬ ভাদ্র ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: গ্যাস সংকটে ঝুঁকিতে বিনিয়োগ-রফতানি      মনোনয়নপত্র জমাদানে উৎসবমুখর পরিবেশ      ভারতে আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান, অভিযোগ অস্বীকার নয়াদিল্লির      দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা      জুলাইয়ে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৫ শতাংশ       গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই: সমাজকল্যাণ সচিব      হাতি সংরক্ষণে প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা করতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা      
খোলাকাগজ স্পেশাল
ধেয়ে আসছে প্রবল বন্যা
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৫১ পিএম
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

আগামী ২৪-৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া ডটকমের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

ফেসবুক পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫-১০টি জেলা এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ১৫-২০টি জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারত ভরা বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর উজানে অবস্থিত ফারাক্কা বাঁধের গেট বন্ধ রেখে গঙ্গা এবং এই শাখা-উপশাখা নদীগুলোর মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ পানি আটকে রেখেছে জুলাই মাসের শুরু থেকে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত (সম্ভবত ১২ তারিখ পর্যন্ত)।’

এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘ফারাক্কা বাঁধের গেট বন্ধ রেখে পানি জমিয়ে রাখার প্রমাণ আমি বিশ্লেষণ করা শুরু করেছি জুলাই মাসের ১৫ তারিখের পর থেকেই। ১২ ও ১৩ আগস্ট ভারি থেকে খুবই ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ইতোমধ্যেই ফুলেফেঁপে থাকা গঙ্গা নদীর পানি ধারণক্ষমতার অবস্থা আরো বিপৎসীমার ওপরে চলে গেছে। যেদিন আমি দেশের একটি বড় মানের বন্যা পূর্বাভাস দিয়েছি। সেই দিন আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ভারত ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দিতে বাধ্য হবে। কারণ ওইদিন আমার বিশ্লেষণে ধরা পড়েছে যে, গঙ্গা নদীর তীরবর্তী কোনো কোনো এলাকায় বন্যা শুরু হয়ে গেছে। যা পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চরম আকার ধারণ করবে। ফলে ভারতের সংবাদমাধ্যমে খবর চলে আসবে ফারাক্কা বাঁধের গেট আটকে রাখার কারণে ওইসব এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমার অনুমান সত্য হয়েছে। ১৩ আগস্ট থেকে ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে রাজশাহী জেলার মানুষদের কাছ থেকে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ফারাক্কা বাঁধের উজানে যে পরিমাণ পানি জমা রয়েছে তা কমানোর জন্য ফারাক্কা বাঁধের সব গেট কমপক্ষে ১-২ সপ্তাহ খুলে রাখার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।’

মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদ্মা নদীর এবং এর শাখা ও উপনদীগুলোর তীরবর্তী জেলাগুলো বন্যাকবলিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ২০২৫ সালের বর্ষা মৌসুমে পুরো বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে (ঐতিহাসিক গড় অপেক্ষা)। এই কারণে ইতোমধ্যে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বন্যা বিপৎসীমার কাছাকাছি উচ্চতায় রয়েছে। ফলে ১৩ আগস্ট ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়ার পর থেকে পদ্মা নদীর শাখা নদীগুলো দিয়ে যে পানি প্রবেশ করা শুরু করেছে তার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জেলা বন্যাকবলিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

আবহাওয়া ডটকমের প্রধান আবহাওয়াবিদ জানান, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫-১০টি জেলা এবং ৭২ ঘণ্টার (আগামী ৩ দিনের মধ্যে) মধ্যে ১০-১৫টি জেলা বন্যাকবলিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের যে জেলাগুলোর মধ্য দিয়ে পদ্মা নদীর পানি প্রবাহিত হয়। বৃহস্পতিবার ইতোমধ্যেও রংপুর বিভাগের তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানি বন্যা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু করেছে। ফলে নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা জেলার অনেক এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

মোস্তফা কামাল পলাশ আরো জানান, আশঙ্কা করা যাচ্ছে, রোববার (১৭ আগস্ট) থেকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ বিভাগের ১৫-২০টি জেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার।

তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি

ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীতীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হয়ে ১০ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। 

নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি ফের বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল দুপুর ১২টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকাল তিনটায় তিন সেন্টিমিটার কমে ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুণ্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে এসব ইউনিয়নের অন্তত ২৫ গ্রামের ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাঁড়সিংহেশ্বর গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন (৫৫) বলেন, ‘বুধবার রাত থেকে নদীর পানি ক্রমেই বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে আরো বাড়ায় বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে গ্রামের অনেকে পালিত গবাদিপশুসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে’। ওই গ্রামের অন্তত ৫০০ পরিবারের এ অবস্থা বলে জানান তিনি। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার  দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বিকাল তিনটায় তিন সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।’ 

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরানুজ্জামান বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে পাওয়া তালিকা অনুযায়ী পাঁচ হাজার ২০৯টি পরিবার বন্যাকবলিত হয়েছে। পরিবারগুলোর মাঝে বিতরণের জন্য ১০ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন হলে আরো বরাদ্দ বাড়ানো হবে’।

কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ওপরে

কুড়িগ্রামে উজানের ঢলে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও গঙ্গাধর নদের পানি বেড়েছে। এসব নদ-নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিম্নভূমির অর্ধশতাধিক চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুধকুমার নদের পানি নাগেশ্বরী উপজেলার পাটেশ্বরী পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদীর পানি বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমার নদের অববাহিকার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ফান্দেরচর, বন্ধুবাজার, টাপুরচর, রায়গঞ্জ উপজেলার চর দামালগ্রাম, চর লুচনি ও কালীগঞ্জ ইউনিয়নের ঢেপঢেপি, নামাপাড়া, কৃষ্ণপুর এলাকায় প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হাতিয়া পয়েন্টে ১ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রাজশাহীতে ৬০০ পরিবার পানিবন্দি

পদ্মার আকস্মিক বন্যায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নে তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর ফসলি জমি। এতে প্রায় ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ফসল হারিয়ে দিশাহারা কৃষকেরা এখন কাঁচা ধান গরুর খাবার হিসেবে কেটে নিচ্ছেন। বন্যা ও নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বহু বাড়িঘর। সরেজমিনে দেখা যায়, চকরাজাপুর ইউনিয়নের মাঠগুলোতে এখন শুধু পানি আর পানি। দূরে দেখা গেল গলাপানিতে নেমে দুই নারী-পুরুষ কাঁচা ধান কাটছেন।
 
স্থানীয়রা জানায়, কাঁচা ধান গরুর খাবারের জন্য কেটে নিচ্ছে ভুক্তভোগীরা। নিজেরা কী খেয়ে বাঁচবে, সেই চিন্তায় এখন তারা দিশাহারা। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়নের পলাশী ফতেপুর, কালিদাসখালী, আতারপাড়া, চৌমাদিয়া এবং দিয়াড়কাদিরপুরের প্রায় ৬০০ বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রায় ৫০টি পরিবার নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ‘উপজেলার ৭৮ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এদিকে, রাজশাহীতে বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে পদ্মার নদীর পানি। এতে নদীর তীরবর্তী নিম্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহী মহানগরীর বাজে কাজলা, তালাইমারী বালুঘাট বসতী, শহিদ মিনার, পঞ্চবটি এলাকার বেশ কয়েকটি বাসায় পানি ঢুকে গেছে। জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তারা। এ ছাড়া অনেকে মাছ ধরার জন্য নদীর তীরে জাল ও বড়শিসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে অবস্থান করেন।

কুষ্টিয়ায় নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দি মানুষ

পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এরই মধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি।

এ অবস্থায় উপজেলার অন্তত ১৩টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও এসব স্কুলে বন্যার্ত মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রশিদুর রহমান বলেন, পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করেছে। বর্তমানে পানি বাড়ার হার আরো দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। পানি বাড়ার যে হার বর্তমানে আছে, সেটা আগামী দুইদিন অব্যাহত থাকবে; তারপর থেকে পানি কমতে শুরু করবে। পাউবো বলছে, ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণেই পদ্মায় পানি বেড়েছে। ১০ দিন ধরে পদ্মার পানি বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোত পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৪ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টের বিপৎসীমা হলো ১৫ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, পদ্মা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। বন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া, শুকনো খাবারসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছে।

যমুনার পানি বিপৎসীমার পথে, বগুড়ায় বন্যার শঙ্কা

বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও আগামী তিন দিনের মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে এ মাসের শেষ সপ্তাহ বা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

যমুনার পানি বৃদ্ধির খবরে নদীপাড়ের মানুষদের মধ্যে নতুন করে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগস্টের শেষ সপ্তাহ বা সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে বন্যা দেখা দিতে পারে।’

কেকে/ এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  আবহাওয়া   বন্যা   আশঙ্কা  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

গ্যাস সংকটে ঝুঁকিতে বিনিয়োগ-রফতানি
মনোনয়নপত্র জমাদানে উৎসবমুখর পরিবেশ
ভারতে আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান, অভিযোগ অস্বীকার নয়াদিল্লির
১০ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক
‘ডোর টু ডোর’ প্রকল্পের সেরা পারফর্মারদের পুরস্কার বিতরণ

সর্বাধিক পঠিত

স্যুটার মান্নান হত্যা মামলার আসামি জুয়েল আটক
গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই: সমাজকল্যাণ সচিব
নীলসাগর গ্রুপের ‘ডোর টু ডোর’ প্রকল্পের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত
লাকসামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন
উখিয়ায় শিক্ষকদের বিক্ষোভ ভাঙতে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ২০
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close