রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) তিন দফা দাবিতে আমরণ গণঅনশনে বসেছে শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন-১ এর সামনে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন এবং এ প্রতিবেদন লেখার সময় (সন্ধ্যা ৭টা ৫৬ মিনিট) পর্যন্ত অনশন চলমান ছিল।
তাদের দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে রাকসুর ভোটকেন্দ্র অ্যাকাডেমিক ভবনে স্থানান্তর এবং ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, অনলাইনের বিভিন্ন অপপ্রচারমূলক গ্রুপ ও পেইজ বন্ধ সাইবার বুলিং রোধে কার্যকর সেল গঠন এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে হামলাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তদের ভোটাধিকার বাতিল করে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে হবে।
এসময় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, রাকসু নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ভোটকেন্দ্র আবাসিক হলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট, ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন ও ছাত্র অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করছি। আমাদের দাবি ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনগুলোতে স্থানান্তর করতে হবে।
তিনি বলেন, আবাসিক হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র একটি অংশ অবস্থান করে। তাছাড়া সেখানে পেশিশক্তিনির্ভর সংগঠনগুলোর প্রভাব ও আধিপত্য রয়েছে, যা সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ গণঅভ্যুত্থানের পরও এই ক্যাম্পাসে পূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত হয়নি। আমরা প্রশাসনের কাছে বারবার দাবি জানালেও তারা কর্ণপাত করছে না। বরং নিজেদের অবস্থানে অটল রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হবে, ততক্ষণ এই অনশন অব্যাহত থাকবে।
শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী মারুফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% এর বেশি শিক্ষার্থী হলে থাকেন না, যার ফলে এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য হলে ভোটকেন্দ্র অস্বস্তিকর এবং অসুবিধাজনক। ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে স্থাপন করা হলে সব শিক্ষার্থী সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে। নির্বাচন কমিশনকে এবিষয়ে অবগত করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। প্রশাসনের এই নির্লিপ্ততা আমাদের বোধগম্য নয়। পাশাপাশি নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করতে ভোটকেন্দ্র অবশ্যই সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে।
অনশনে বসেছেন বাম সংগঠনগুলোর জোট গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সংগঠক সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী মারুফ, সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া শুভ, ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সচিব ওয়াজেদ শিশির অভি।
এর আগে, দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অনশনের ঘোষণা দেন। পূর্বঘোষিত অনুযায়ী তারা এই করছেন।
কেকে/ এমএস