কিশোরগঞ্জের একটি গ্রামের প্রধান চলাচলের পথ বন্ধ করে নির্মাণ করা হয়েছে ব্যক্তিগত টয়লেট। ফলে প্রতিদিনই চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় শতাধিক বাসিন্দা। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, দিনমজুর, নারী ও প্রবীণরা।
ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের ভুবিরচর দক্ষিণপাড়া গ্রামে। জানা গেছে, গ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে মানুষজন চলাচলের জন্য ব্যবহার করে আসছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবে যশোদল ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি আব্দুল করিম লিটন ওই পথের ওপরেই ব্যক্তি ব্যক্তিগত টয়লেট নির্মাণ করে পথটিকে কার্যত বন্ধ করে দেন। এই ঘটনায় গ্রামবাসীর পক্ষে মো. আল আমিন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ভুবিরচর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আইয়ূব আলীর ছেলে কুতুব মিয়া, আবু বকর সিদ্দিক,রুকুন মিয়া,চাঁন মিয়া।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের কুতুব মিয়া, আবু বক্কর সিদ্দিক, রুকুন মিয়া ও চাঁন মিয়া নামের চার সহোদর ভাই রাস্তার একটি অংশ তাদের ব্যক্তিগত জমি দাবি করে সেখানে টয়লেট নির্মাণ করে চলাচলের পথ পুরোপুরি বন্ধ করে দেন। এলাকাবাসী জানান, বহু বছর ধরে এই উঁচু মাটির রাস্তাটি দিয়ে আশপাশের পরিবারগুলো যাতায়াত করত। তবে গত কয়েক মাস ধরে এই পথ পুরোপুরি বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আ. মোতালিব বলেন, এই পথ দিয়েই আমরা বাজারে যেতাম, বাচ্চারা স্কুলে যেত। এখন ঘুরে অনেক দূর দিয়ে যেতে হয়। বর্ষায় কাদা আর পানি জমে যাওয়ায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলা হলেও তারা রাস্তা খুলে দিতে অস্বীকৃতি জানান। বরং গ্রামবাসীর অনুরোধ উপেক্ষা করে তারা রাস্তার ওপর দখল জারি রেখেছেন বলেও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ৫নং যশোদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। সাধারণ মানুষের চলাচলের পথ কেউ ব্যক্তিস্বার্থে বন্ধ করে রাখতে পারে না। দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ যদি জনস্বার্থের রাস্তায় বাধা দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএস