টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আষাঢ় মাসের শুরু থেকেই অনুকূল বৃষ্টিপাত হওয়ায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি জমেছে, যা আমন চাষে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে।
শনিবার (২ আগস্ট) উপজেলার ১টি পৌরসভা ৭ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখতে পেলাম আমন ধানের চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। দেখা গেছে, কৃষকরা বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে জমি প্রস্তুত করে আমন রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কৃষকেরা আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে কৃষকদের অভিযোগ, মাঠে কাজ করতে শ্রমিকরা বেশি টাকা চাচ্ছেন। আমন মৌসুমের শুরুতেই বেড়ে যাচ্ছে ধান চাষের উৎপাদন খরচ। এখন খরচ বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী নেই কৃষকদের ধানের দাম। প্রতি বছর উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাড়ে না উৎপাদিত ধানের দাম। উল্টো কমে যায় ধানের দাম। এ জন্য হতাশা প্রকাশ করেন কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় এ বছর ১০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিগত মৌসুমের চেয়ে বেশি চাষাবাদ হবে, ফলনও বেশি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
কৃষি অফিসার মো. মাসুদুর রহমান জানান, এ বছর আমনের উৎপাদন লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং বীজ, সার ও পরামর্শ প্রদানে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে থেকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির কারণে মাজরা পোকা বা খোলপোড়া রোগের ঝুঁকি থাকলেও কৃষকদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
মমিনপুর গ্রামের কৃষক মো. ছোরহাব আলী বলেন, জমি চাষ, সার, কীটনাশক, শ্রমিকদের মজুরি ও সেচের পানিসহ সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন খরচ অনুযায়ী ধানের দাম কম। জীবন বাঁচার তাগিদে আমন ধানের চাষ করছি। বর্তমানে শ্রমিকদের মজুরি দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানান তিনি। ধনবাড়ী বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সবুজ ধানের সমারোহ, যা অদূর ভবিষ্যতে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাবে—এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
কেকে/ এমএস