সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে থাকে পানি। এ কারণে যানবাহনে থাকা যাত্রীদের শরীরে সিটকে যায় পানি। নেই কোনো পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। চালক-যাত্রীদের ভয়ে থাকতে হয়। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পথচারী, যানবাহনের চালক ও শিক্ষার্থী-শিক্ষকগণ। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্থানীয়রা জানান, পানি নিষ্কাশনের কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে থাকে সড়কে। সেই জমে থাকা পানি শুকাতে লেগে যায় দীর্ঘ সময়। পাঁচ বছর থেকে ওই সড়কে জমে থাকে পানি।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের পাখিউড়ার মুল সড়কে ওয়াহেদ নগর সংলগ্ন এলাকায় ৪০ মিটার জুড়ে সড়কে জমে আছে বৃষ্টির হাটু পানি। এ সড়কে গেন্দার আলগা, সোনাপুর, সুখেরবাতি, চর গেন্দার আলগা, ঘুঘুমারী, পাখিউড়াসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়াও যাতায়াত করে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ ১৪ থেকে ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ।
স্থানীয় জায়েদা খাতুন নামের এক নারী বলেন, পাঁচ বছর থেকে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে এই সড়কে। পানি নিষ্কাশনের কেউ কোনো উদ্যোগ নেয় না। আমি নিজেও বাড়ি থেকে বের হতে হলে হাটু পানি মাড়িয়ে বাড়াইতে হয়।
অটোভ্যান চালক শাজাহান মিয়া বলেন, সড়কে জমে থাকা পানি পার হতে সব সময় ভয়ে থাকতে হয়। কখন যেন যাত্রীসহ গাড়ি উল্টে যায়।
চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি ওয়ার্ড সদস্য আক্তার হোসেন বলেন, আগে ওই সড়কে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ ছিল, তা বন্ধ হয়েছে। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই সড়কে পানি জমে থাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে। আমি চেষ্টা করবো একটা ব্যবস্থা করার জন্য।
রৌমারী উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী মনছুরুল হক বলেন, ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/ এমএস