বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মনির্ভর রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গণঅধিকার পরিষদ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে আবু হানিফ-এর নাম ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রথম ধাপের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাসান আল মামুন।
ঘোষণা অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আবু হানিফ বর্তমানে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জ-১ এলাকায় ট্রাক মার্কা প্রতীকে ব্যাপক গণসংযোগ, পথসভা ও মতবিনিময় সভা শুরু করেছেন। এলাকাবাসীর ব্যাপক আগ্রহ ও সম্পৃক্ততায় তার প্রচারণা প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে প্রার্থী আবু হানিফ বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের জনগণ প্রকৃত অর্থে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। মানুষ দুই দলের শাসনের সীমাহীন দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দমননীতি প্রত্যক্ষ করেছে। এখন জনগণ পরিবর্তন চায় তারা চায় কল্যাণমুখী, জনমুখী নেতৃত্ব। অবৈধ টাকা ও পেশিশক্তির রাজনীতি জনগণ আর মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। আমরা বিশ্বাস করি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে জনগণের শক্তিই বিজয়ী হবে।’
আবু হানিফ ছাত্রজীবন থেকেই একটি গণতান্ত্রিক, দায়িত্বশীল ও মানবিক রাজনীতির পক্ষে সোচ্চার। তিনি ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে জাতীয়ভাবে পরিচিতি লাভ করেন। সে সময় থেকেই তাকে সরকারের রাজনৈতিক নিপীড়ন, মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
সবশেষ ২০২৫ সালের জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনের শুরুতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় নেতৃত্ব প্রদানকালে তাকে র্যাব কর্তৃক নারায়ণগঞ্জ থেকে তুলে নেওয়া হয়। দুদিন গুম করে রাখার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৬ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি মুক্তি লাভ করেন।
গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আবু হানিফ-এর মতো ত্যাগী, সৎ ও আন্দোলননির্ভর প্রার্থীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক ধারা প্রতিষ্ঠিত হবে যা জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র ও ন্যায়ের পক্ষে সুদৃঢ় ভূমিকা রাখবে।
কেকে/ এমএস