সীমান্তে ভারতের অপতৎপরতা বেড়েই চলছে। পুশইন, সীমান্ত হত্যা যেন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যেন নিয়মিত কার্যক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের শত প্রতিবাদেও এ তৎপরতা কমছে না। সব কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশবিরোধী এ কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সীমানার ভেতর প্রবেশ করে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটল। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, চোরাকারবারি সন্দেহে তাদের আটক করে নিয়ে যায় ভারতীয় বাহিনী।
শুক্রবার আটক যুবকদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক বিওপির হরিপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিএসএফ। আটক ব্যক্তিরা হলেন শরীফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সোহাগ মিয়া (২৩), মাসুক রহমান মন্টুরি (২০) ও সিপার আহমদ (২২)। তারা শরীফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওই তিনজন বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে হরিপুর এলাকায় মাছ ধরছিলেন। এ সময় ১৫ থেকে ২০ জন বিএসএফ সদস্য হঠাৎ সীমান্ত পেরিয়ে এসে তাদের চোরাকারবারি সন্দেহে আটক করে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। ওই সময় এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকেই কিছু বুঝে উঠতে পারেননি।
আটক মাসুক রহমান মন্টুরির ভাই ময়নুল মিয়া বলেন, ‘আমার ভাই মাসুকসহ সোহাগ ও সিপার বাংলাদেশ অংশেই মাছ ধরছিল। হঠাৎ বিএসএফ এসে তাদের ধরে নিয়ে যায়। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্থানীয় বিজিবিকে জানিয়েছি।’
শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুন মিয়া বলেন, ‘তারা সীমান্ত এলাকায় মাছ ধরতে গিয়েছিল বলে শুনেছি। পরে বিএসএফ এসে ধরে নিয়ে যায়। বিজিবিকে জানানো হয়েছে।’
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক ফিরোজ আহমদ বলেন, ‘শরীফপুর সীমান্ত থেকে তিন যুবককে বিএসএফ ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে আমরা স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের মাধ্যমে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
কেকে/ এমএস