কুড়িগ্রামের রৌমারীতে লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্পের আওতায় জিঞ্জিরাম নদী থেকে সৌরচালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে সেচ প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন কৃষি, পানিসম্পদ বিভাগের উপপ্রধান রুহুল আযম।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্দা নামাপাড়া এলাকায় এ প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি।
উপপ্রধান রুহুল আযম বলেন, লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্পের আওতায় রৌমারী উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত যাদুরচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বকবান্দা নামাপাড়া এলাকায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের (বাস্তবায়নকৃত-২০২৪) ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৫ টাকা ব্যয়ে জিঞ্জিরাম নদী থেকে সৌর চালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৪৪০ শতাংশ (২.৪৪ একর) জমি সেচ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটি সাত বিশিষ্ট রক্ষণাবেক্ষণ কমিটি ও কেয়ারটেকারের মাধমে পরিচালিত হয়। এই সুবিধা গ্রহণ করছে এই এলাকার ৬২টি পরিবারে প্রায় ৪৫০ জন সদস্য। পূর্বে বিঘা (৬২ শতাংশ) প্রতি ফসলে সেচ বাবদ খরচ হতো ১২ হাজার টাকা। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে বিঘা (৬২ শতাংশ) প্রতি ফসলে সেচ বাবদ খরচ হচ্ছে ৬ হাজার টাকা।
এতে তাদের প্রতি সিজনে ৬ হাজার টাকা সাশ্রয় হচ্ছে ও প্রতি বছরে প্রায় ৪ লাখ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। ফলে এই এলাকার কৃষকগণ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হচ্ছে। এছাড়াও রৌমারী উপজেলা প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম হওয়ায় সেচ প্রকল্পে কাজে ব্যাঘাত ঘটে। যার কারণে এই ধরনের সৌরচালিত সেচ প্রকল্পটি উপযুক্ত ও বিদ্যুৎ ঘাটতি কমায়। এই প্রকল্পটি সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে চালিত হওয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেল প্রয়োজন হয় না এবং কার্বণ নিঃস্বণ হয় না, বিধায় এটি একটি পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার হালদার, যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী, কুড়িগ্রাম লজিক প্রকল্পের ডিসিসি মো. মুছা, ডিসিএফসি খোকন কুমার কুন্ড, প্রকল্প প্রকৌশলী সাহেদ হাসান, উপজেলা ফ্যাসিলিটের নজরুল ইসলাম। এছাড়া রক্ষণাবেক্ষণ কমিটি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও উপকারভোগী কৃষকগণ।
কেকে/ এআর