জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে হাসিনার জন্ম ভিটা গোপালগঞ্জ। এনসিপির কর্মসূচি ঠেকাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দিনভর হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়ায়। এ সংঘর্ষে অন্তত ৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, আহতও হয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারির পর দেওয়া হয়েছে ২২ ঘণ্টার কারফিউ।
তথ্য বলছে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালান আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় সাউন্ড সিস্টেম, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে এবং সমবেত এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা শহর। এসব হামলা, ভাঙচুর ও বাধাদানের পরও গোপালগঞ্জে ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’ স্লোগানে সমাবেশ করে এনসিপি। এ সময় দলটির নেতারা গোপালগঞ্জে ‘মুজিববাদের কবর রচনা’ করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ ছাড়া সদর উপজেলার কংশুরে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতে হামলা চালানো হয়। একই সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হামলা করা হয় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সরকারি বাসভবন ও গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারেও। এ হামলায় কয়েকজন কারারক্ষী আহত হলেও কোনো বন্দি পালানোর তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে সমাবেশ শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা শহর ত্যাগ করার চেষ্টা করলে তাদের গাড়িবহরও হামলার শিকার হয়। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় তারা গোপালগঞ্জ ত্যাগ করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জের ঘটনায় যারা জড়িত; তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
রণক্ষেত্রে পরিণত গোটা শহর : গতকাল দুপুরে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে সভা করে এনসিপি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সভার আগে এনসিপির সমাবেশস্থলে ২০০-৩০০ স্থানীয় জনগণ লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এর মধ্যেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ।
সভা শেষে এনসিপি নেতারা গাড়িতে উঠে সমাবেশস্থল ত্যাগ করার সময় গাড়িবহরে হামলা হয়। গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ও সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। হামলাকারীরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। বিকেল ৪টার দিকে এনসিপি নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। পরিস্থিতি সামলাতে বিকালে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় ৪ প্লাটুন বিজিবি।
সংঘর্ষে অন্তত ৪ প্রাণহানি : এনসিপি সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫), কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮), টুঙ্গীপাড়ার সোহেল মোল্লা (৪১) ও সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন (২৪)।
তবে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ সদর হাসপাতালে এসেছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অবরুদ্ধ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা : সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় হামলার মুখে পড়ে এনসিপি নেতাদের বহনকারী গাড়িবহর। এমনকি আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হামলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে শহরের সমাবেশস্থল থেকে বের হওয়ার পথেই কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরের ওপর ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সেই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
পরবর্তীতে পুলিশ ও র্যাবের পাহারায় এনসিপির নেতাদের শহর থেকে বাইরে বের করার চেষ্টা করা হলেও ব্যাপক হামলার মুখে তাদের আবার শহরে ফিরিয়ে আনা হয়। এর কিছুক্ষণ পরে সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম সেখানে এলে তারাও হামলার মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে এনসিপি নেতাদের গাড়ি বহর ঘুরিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইউএনও ও ডিসির বাসভবনে হামলা : সংঘর্ষ চলাকালে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান।
এর আগে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতে হামলা করা হয়। জানা গেছে, এদিন সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের গাড়িতে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে ওই এলাকা পরিদর্শনে যান সদর উপজেলার ইউএনও এম রাকিবুল হাসান। সেখান থেকে ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার কংশুরে ইউএনওর গাড়িতে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় তার গাড়ির চালক আহত হন।
ইউএনও এম রাকিবুল হাসান বলেন, ‘এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে হামলা অপ্রীতিকর ঘটনা জানার পরে ওই এলাকায় পরিদর্শনে যাই। সেখান থেকে ফেরার পথে কংশুরে পৌঁছালে, একদল লোক আমাদের গাড়িতে হামলা করে। গাড়ির চালক মোহাম্মদ হামিম আহত হয়েছেন।’ ইউএনও এম রাকিবুল হাসান আরো বলেন, ‘কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, আমরা এখন পর্যন্ত তাদের চিনতে পারেনি বা শনাক্ত করতে পারিনি।’
২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি : জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার রাত ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ কারফিউ জারি থাকবে। গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জ সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এদিকে জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে গোপালগঞ্জে সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল বুধবার ফেসবুকে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের ভেঙে দেওয়া হবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।
সারা দেশে ব্লকেড কর্মসূচি : গোপালগঞ্জে এনসিপি সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর আগে বুধবার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রশিদুল ইসলাম রিফাত।
তিনি লিখেছেন, গোপালগঞ্জে জুলাইয়ের নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সারা দেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব ইউনিটকে স্থানীয় ছাত্র সংগঠন, রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
হামলাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম : এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন সংগঠনের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।
হাদি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ নিয়ে গোপালগঞ্জ অভিমুখে লং মার্চ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এ দেশে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি আছে। আমাদের তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক ঝগড়া আছে। কিন্তু জুলাই ও স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ঝগড়া নেই। এনসিপির উদ্দেশে বলছি এ সরকারে তোমাদের দুই ভাই আছে, আসিফ মাহমুদ আর মাহফুজ আলম। যদি সরকারে থেকেও তোমাদের গোপালগঞ্জে নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে সারা দেশের নিরাপত্তা কোথায়?
শাহবাগ থানার সামনে অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে হাদি বলেন, আমরা এখন শাহবাগ থানায় যাচ্ছি। আমাদের ভাইদের নিরাপদে ফিরিয়ে না আনলে কাউকেই এখানে মুক্ত থাকতে দেওয়া হবে না। শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি হবে, কিন্তু কেউ যদি উসকানি দেয়, স্যান্ডেল মেরে মুখের দাঁত ফেলে দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, গোপালগঞ্জের প্রতিটি উপজেলাকে মাদারীপুর ও ফরিদপুরের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
সমাবেশ শেষে টিএসসি থেকে মিছিল করে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ‘মুজিববাদ নিন্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘গোপালিদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘লাল জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো হাতিয়ার’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গোপালগঞ্জে আজ যে সহিংসতা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তরুণ এ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া তাদের মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন। এনসিপি সদস্য, পুলিশ ও গণমাধ্যমের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে, তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং সহিংস আক্রমণ করা হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা ছাড় পাবে না। অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
এতে আরো বলা হয়, ‘তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ায় আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের এবং হুমকি সত্ত্বেও সমাবেশ চালিয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের সাহসিকতার প্রশংসা করি। এ বর্বরতার জন্য দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। স্পষ্টতই আমাদের দেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে এবং থাকবে।’
এদিকে ধৈর্য ধরে পুলিশ গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আমরা লিথ্যাল (প্রাণঘাতী অস্ত্র) কোনো কিছু ব্যবহার করিনি, তাই আমাদের একটু সময় লেগেছে।’ গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘উচ্ছৃঙ্খলতা যা হয়েছে, সেটা যতটুকু সম্ভব আমরা ধৈর্যের সঙ্গে প্রশমন করার চেষ্টা করছি। এখন আরো পুলিশ সদস্য পাঠানো হচ্ছে পুরো জিনিসটা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।’
কেকে/ এমএস