জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহিদদের কেন্দ্র করে এক শ্রেণির অশুভশক্তি ১ বছর পরও মামলা বাণিজ্য করছে। এতে সাধারণ মানুষ, বিএনপির নেতাকর্মী ও বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদেরও ছাড় দিচ্ছেন না। অশুভ মামলাবাজ শক্তিকে খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি ও একাধিক মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে বাতিলের দাবি করেন স্থানীয় সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতারা।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে এ আয়োজন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য দিতে গিয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের নের্তৃবৃন্দ বলেন, উপজেলার ৮/৯ জন সংবাদকর্মী একটি অশুভ মামলাবাজদের খপ্পরে পড়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যারা লিখে বা যে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নামে জুলাই শহিদদের নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. হাসান জামিল খান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম ফারুক, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শামীম শিবলী, সহ-সভাপতি ফয়সল আহমেদ খান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাবেয়া সুলতানা ইভা, মৎস্য কর্মকর্তা সাইদা ইসলাম, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী মোস্তায়েম বিল্লা, কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, এলজিইডি প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা থেকে জুলাই আন্দোলনে আহত ও নিহত শহিদদের অভিভাবকবৃন্দ প্রমুখ।
আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারীরা শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন ও দোয়া করা হয়। এসময় বক্তারা জুলাই শহিদদের স্মরণ করে স্মৃতিচারণ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন ইউএনও ফেরদৌস আরা।
কেকে/ এমএস