উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক বলেন, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট এই এলাকায় ছাত্র ও জনতার ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনার স্মরণে এই স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাস।

তিনি আরো জানান, স্মৃতিস্তম্ভে হামলায় নিহত শহিদদের নাম খোদাই করে সংরক্ষণ করা হবে। একইসঙ্গে যেসব এলাকায় শহিদরা নিহত হয়েছেন, সেখানে ‘রোড মেমোরি স্ট্যান্ড’ নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। প্রতিবছর ৫ আগস্ট শহিদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমদ খান, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়া, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো. আলী নূর মোহাম্মদ বশির, কেন্দ্রীয় এনসিপির সদস্য হাফছা জাহান, কুমিল্লা এনসিপি নেতা কাউসার আলম, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান,কালচারাল অফিসার মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহির তাজওয়ার ওহিসহ অনেকে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নজরুল ইনস্টিটিউট কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আল-আমিন। দোয়া পরিচালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আইসিটি মাস্টার ট্রেইনার আবদুল্লাহ নোমান।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণকাজ শেষ হলে এটি হবে কুমিল্লার গণতান্ত্রিক চেতনার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক।

কেকে/এএম