ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত দুই নেতা হলেন ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক উল্লাস মাহমুদ এবং ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাব্বির হোসেন।
শনিবার (৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের বিপরীত পাশে অবস্থিত ছোট দোকান মালিক আব্দুল্লাহ আহাদ এ অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী দোকানী আহাদ বলেন, ঈদের বন্ধের সময় আমাকে এক দিন উল্লাস ভাই ফোন দিয়ে বলে তুমি আমার সঙ্গে দেখা করিও। আমি কিছু দিন পর ওনার সঙ্গে দেখা করি। উনি তখন বলেন তুমি কি দোকান ছাড়বা? আমি বলি, ভাই আমি ছাড়ব না, বন্ধের পর দোকান চালু করব। পরে বলল আচ্ছা ঠিক আছে। আমার সঙ্গে এক দিন দেখা করিও। এরপর এক দিন দেখা করি, কিন্তু কিছু বলে নাই। আজ হঠাৎ দুপুর ১টার দিকে উল্লাস ভাই আর সাব্বির ভাই দোকানে এসে বাইরে নিয়ে গিয়ে বলে যে, বড় ভাইয়ের জন্য কিছু টাকা দিতে। আমি বললাম, আমি কিছু আগেই দোকান খুললাম এখন তো টাকা নেই। পরে বলে আমরা বুধবার আসব। তুমি টাকা রেডি করে রাখিও, কোনো সমস্যা হইলে ভাই দেখবেনে। কিন্তু কত টাকা দিতে হবে সেটার পরিমাণ বলে নাই। বলছে বড় ভাই আসলে তখন দিয়ে দিও। আর কোনো সমস্যা হলে বড় ভাই দেখবে।
অভিযোগের ব্যাপারে ইবি ছাত্রদলের কর্মী ও ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক উল্লাস মাহমুদ বলেন, তার কাছে টাকা চাওয়ার ব্যাপারে আমি কোনোভাবেই জড়িত না, তাকে আমি চিনিও না। সে যদি সরাসরি প্রমাণ দিতে পারে যে, আমি তার দোকানে গিয়েছি তাহলে সে যা বলবে আমি মাথা পেতে নেব। তবে আমি এ বিষয়ে কোনো কিছু জানিও না, আর আমি যাইনি কোথাও। ঠিক কী কারণে সে এই অভিযোগ এনেছে সেটা আমার জানা নেই। হতে পারে কোনো একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।
ইবি ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সাব্বির হোসেন বলেন, এটা সম্পূর্ণ একটা মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে। আমি আজ সকালে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম তারপর আমি আমাদের সভাপতির সঙ্গে দেখা করে ঝিনাইদহে চলে আসছি দুপুরে। রবীন্দ্র নজরুলের সামনে যে ঘটনার কথাটা আপনি বলছেন সেদিকে আমি যাইনি। এটা হতে পারে কোনো নির্দিষ্ট পক্ষের ষড়যন্ত্র।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, এই ঘটনার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কয়েকজন সাংবাদিকের মাধ্যমে জানলাম যে ছাত্রদলের দুইজন নাকি টাকা চেয়েছে। যদি তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত দুজনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হবে।
কেকে/এএম