ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ (ইকসু) গঠন, বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল সহ ৩ দফা দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
বুধবার (২৫ জুন) বেলা দেড়টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর হাতে স্মারকলিপিটি তুলে দেন সংগঠনের নেতাবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম।
স্মারকলিপিতে তুলে ধরা ৩ দফা দাবিগুলো হলো:
১. ইকসু আইন প্রণয়ন ও ইকসু গঠন: জুলাই বিপ্লবের অন্যতম মৌলিক আকাঙ্ক্ষা লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির অবসান ঘটিয়ে ছাত্র সংসদ গঠনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করলেও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া এক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন পূণর্বিবেচনা করে সিন্ডিকেটের অনুমোদনের মাধ্যমে ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনে ইকসু আইন প্রণয়ন ও গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে ইকসু নির্বাচনের আয়োজনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
২. ভর্তিপ্রক্রিয়ায় কোটা বাতিল: বৈষম্যমূলক কোটা প্রথার অবসানের জন্যই শুরু হয়েছিলো ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপ্রক্রিয়ায় বৈষম্যমূলক এই কোটা প্রথায় পূণর্বহাল জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের সাথে প্রতারণার সামিল। সুতরাং অনতিবিলম্বে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল সহ অন্যান্য কোটা ব্যবহারের সুযোগ হ্রাস করতে হবে।
৩. জুলাই বিপ্লবের বিরোধিতাকারী শিক্ষক-কর্মকর্তদের বিচার প্রক্রিয়া তরান্বিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ: জুলাই এর রক্তাক্ত পথ মাড়িয়ে গঠন হওয়া এই প্রশাসনের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব সহস্রাধিক শহিদের আত্মত্যাগের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের যথাযথ শাস্তিবিধান করা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জুলাই বিপ্লবের বিরোধিতাকারীদের বিচারের লক্ষ্যে যে তদন্ত কমিটি গ্রহণ করেছে তার কার্যক্রম তরান্বিত করে অনতিবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বাগছাসের নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের আদর্শের ধারক ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠন, জুলাই আদর্শের আলোকে ছাত্র রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সৃষ্টি, শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করা ও বৈষম্যহীন শিক্ষাঙ্গন তৈরিতে সচেষ্ট। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনায় উপর্যুক্ত লক্ষ্য অর্জনের স্বার্থে আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা উপাচার্য মহোদয়ের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। আশাকরি প্রশাসন দ্রুতই আমাদের দাবী সমূহ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেবে৷ অন্যথায়, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাণের দাবি আদায়ে বাধ্য হবে।
কেকে/ এমএস