নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর গ্রামের একটি পুকুর থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (২২ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, নিহত কামরুল হুদা (৪০) উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লা পাড়ার মোস্তফা মেম্বারের ছেলে। উদ্ধারের পর তার লাশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যায় নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কামরুল হুদার সঙ্গে বাড়ির জায়গা-জমি নিয়ে তার চাচাতো ভাই আবদুর রহিমদের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সম্প্রতি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে আবদুর রহিমের করা মামলার আসামি আবুল বাসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন খোলা কাগজকে জানান, বৃহস্পতিবার থেকে কামরুল হুদাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আজ দুপুরের পর নিজ বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের একটি পুকুরের কোমরসমান পানির মধ্যে একটি লাশ ভাসতে দেখেন আশপাশের লোকজন। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে সেটি কামরুল হুদার বলে শনাক্ত করেন।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলম খোলা কাগজকে বলেন, কামরুল নিখোঁজ হওয়ার পর তার মা মফিজা খাতুন গতকাল শনিবার রাতে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ। পরে আজ দুপুরে তারা খবর পান, নিখোঁজ কামরুলের লাশ একই ওয়ার্ডের একটি পুকুরে ভাসছে।
ওসি মোরশেদ আলম জানান, যে পুকুর থেকে কামরুলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটিতে কোমরপানি।পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, কামরুল ভালোভাবে সাঁতার জানতেন। তাই তিনি পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার কথা নয়। উদ্ধারের পর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে লালচে দাগ দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএম