প্রখর রোদ উপেক্ষা করে কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর সংলগ্ন বেড়িবাঁধে ভিড় করেছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা। বিশাল জলরাশি ও হাওরের দিগন্ত ছোঁয়া আকাশের অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ পর্যটকরা।
সোমবার (৯ জুন) দুপুর ২ টায় নিকলীর বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুরে পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মানুষ ঈদুল আজহার ছুটিতে বাইক, অটোরিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়িতে এখানে বেড়াতে আসছেন।
পর্যটকদের আগমনে উপজেলার মাঝিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটছে।
স্থানীয়রা জানান, কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের মধ্যে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে নিকলী বেড়িবাঁধ।
সোমবার দুপুরে, নিকলী বাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকরা বেড়িবাঁধের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করছেন। কেও সাঁতার কাটছে পানিতে, কেও কেও গল্পে মেতেছে। হাতে রয়েছে ডাব, তালের আাষারি, কেও চা কফি। অনেকে আবার নৌকায় করে ঘুরছেন হাওরের বুকে।
পর্যটক পলাশ মিয়া ১০ জনকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর থেকে এসেছেন নিকলিতে। তিনি বলেন, আমি সমুদ্রের মতো প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। হাওরে এসে দুপুরে তাজা মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছি। তবে নৌকা ভাড়া অনেক বেশি। তারা ২০০০ টাকা ভাড়া ৬০০০ টাকা নিচ্ছে। মাঝিরা সিন্ডিকেটের জন্য ইচ্ছে করলেই প্রকৃত ভাড়া পায়না।
আবেদ আলী(৫০), নিকলি জাম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, এক ফসলি ধান জমি ছাড়া আমাদের পুরো বছর তেমন কোনো কাজ নেই। খুব কষ্ট করে চলতে হয়। এই সময়টাতে ঢাকার লোকেরা ঘুরতে আসে। আমরা নৌকা ভাড়া দিয়ে সংসার চালাই। তবে কিছু কৃষক পাট চাষ করে। আবার কিছু কৃষক হাঁস পালন করে।
কিশোরগঞ্জের নিকলি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর নিকলিতে কর্তব্যরত ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার আল মামুন খোলা কাগজকে বলেন, আমরা ২৪ জন ফায়ার ফাইটার ডিউটি করছি। এইখানে নৌ দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি হয়। আমাদের ২ টা অগ্নি জাহাজ, ২ টা স্পিডবোট রয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিতদের উদ্ধারে আমরা ২৪ ঘণ্টা প্রস্তত আছি।
জানা যায়, ২০০০ সালের দিকে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলা সদরকে বর্ষায় ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় সরকার সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে।
কেকে/এআর