বাঞ্ছারামপুরের সবচেয়ে বড় হাট রোববারের মওলাগঞ্জ বাজার। সেখানে ছাতিপট্রি নামে একটি গলিতে শরিফ মিয়া দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ছাতা মেরামতের কাজ করছেন। কথা বলতে গেলে বলেন ১ ঘণ্টা পরে আসেন। দম ফেলানোর সময় নেই। হাতে ৪ টা ছাতা মেরামতের কাজ।
সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে আনন্দের ছোঁয়া লেগেছে পৌর শহরের ছাতা কারিগরদের জীবনে। বর্ষা এলেই বেড়ে যায় পুরোনো ছাতা মেরামতের কাজ। ফলে হাট বাজারের মতো ফুটপাতজুড়ে এখন ছাতা মেরামতের ব্যস্ততা। কাজের চাপ বাড়ায় উপার্জনও বেড়েছে এসব দিনমজুরের।
পৌর শহরের বড়বাজারে ফুটপাতে কয়েকজন কারিগর পুরোনো ছাতা মেরামত করেন।
তাদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ জিলানী কারিগর। জিলানী মিয়া বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে ছাতা মেরামত করি। এখন বৃষ্টি হওয়ায় কাজ বেড়েছে। গড়ে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ টাকার মতো আয় হয়। এই টাকায় পরিবার নিয়ে কোনোমতে সংসার চালাই। কিন্তু বর্ষা ছাড়া বাকি সময় তেমন কাজ থাকে না।’
আরেক ছাতা কারিগর মো. আলম মিয়া বলেন, ‘বছরের বাকি সময় কাজ কম থাকে, কিন্তু বর্ষায় ভালো আয় হয়। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ টাকা উপার্জন করি। তাতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনোমতে সংসার চলে। বসতভিটা ছাড়া আর কোনো সম্পত্তি নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাঞ্ছারামপুর পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকায় অনেক ছাতা কারিগর রয়েছেন, যারা আমাদের মতোই অসচ্ছল। আমরা চাই সরকার আমাদের মতো দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াক।’
কেকে/এআর