কক্সবাজারের রামু উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন। সামান্য বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগের শেষ নেই ফতেখাঁরকুলবাসীর। এ নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের অবগত করলেও জলবদ্ধতা নিরসনে কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় ময়লা-আবর্জনা জমে চলাচলের পথ ও বসতবাড়ি পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক শতাধিক পরিবার। ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মেরংলোয়া, বড়ুয়াপাড়া, শ্রীকুল, অফিসের চরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
রামু উপজেলা পরিষদের সামনের বড়ুয়াপাড়া-আমতলিয়াপাড়া সড়কে সামান্য বৃষ্টিতে জমে থাকে হাটুসমান পানি। অথচ এ সড়কে একটি সরকারি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ড্রেনের ময়লা পানি মাড়িয়ে হেটে যেতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
ড্রেন ও পুকুরের পঁচা ময়লা আবর্জনা মিশ্রিত পানি দিয়ে নিরুপায় হয়ে চলাচল করছে স্থানীয়দের। বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্কুল কলেজ ও প্রাইভেট পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের।
তারা জানান, ময়লা-আবর্জনার পানি দিয়ে হেটে যেতে পানিবাহিত রোগসহ, এলার্জি হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দীর্ঘবছর ধরে এ সমস্যা চলমান থাকলেও জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসন বিষয়টি বিবেচনায় আনছে না।
ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান, বরাদ্দ না থাকায় সমাধান করতে পারিনি এ জটিলতা। তবুও অল্পদিনে দায়িত্বভার গ্রহণ করে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা নিরসন করেছি। জলাবদ্ধতার স্থানগুলো নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
কেকে/এজে