অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১ জুন) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অবিরাম বর্ষণ ও ঢলে ধলাই নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ও পর্যটনকেন্দ্রসমূহ পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হলো। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া স্থিতিশীল হলে পরবর্তীতে পর্যটন স্পটটি খুলে দেওয়া হবে।
এদিকে অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি আরো বেড়েছে। সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার ৪টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সেগুলো হচ্ছে, কানাইঘাট, আমলসীদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ। রোববার বিকেল ৩টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্যানুযায়ী বিকাল ৩টায় সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর শেওলা পয়েন্টেও পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। আর ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়াও অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছিল।
এদিকে সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সিলেট আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানিয়েছেন, এ মৌসুমে ২৪ ঘণ্টার হিসেবে এটাই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। বৃষ্টি ঝরছে ভারতের উজানেও। একদিনে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে। এর প্রভাবে নদ-নদীর পানি বাড়ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব উপজেলার ইউএনওদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বন্যাকবলিতদের উদ্ধারের জন্য নৌকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও ত্রাণ সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কেকে/এজে