শাহবাগ বিরোধী ঐক্যের বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বাম গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শাহবাগ বিরোধী ঐক্যের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম ।
লিখিত অভিযোগে শাহবাগ বিরোধী ঐক্যের বিক্ষোভ মিছিলে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুলের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি তুলেছেন রাকিবুল ইসলাম। অভিযোগে তিনি বলেছেন, আমরা শাহবাগ বিরোধী এক মঞ্চের ব্যানারে শাহবাগীদের বিচার চেয়ে একটি প্রতিবাদ মিছিল শেষে পরিবহন মার্কেটে সমবেত হয়েছিলাম। যেখানে শিক্ষার্থীরা যখন বক্তব্য দিচ্ছিল তখন ফুয়াদ রাতুলের নেভৃত্বে কিছু বাম নেতা মশাল হাতে নিয়ে আমাদেরকে শিবির-রাজাকার বলে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এতে আমাদের ৮-১০ জন ভাই আহত হয় এবং তারাও পাল্টা হামলা করতে উদ্যত হয়। এসময় আমরা তাদেরকে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করি। আমরা এই হামলার বিচার চাই
অন্যদিকে অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট এবং গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী যারা ছিল, তাদের উপর ছাত্র শিবিরের ক্যাডারা যেই হামলা চালিয়েছে, তারই প্রতিবাদে আমরা এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। তারা তিন দফায় আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এই হামলার বিচার চাই এবং নিরাপত্তার দাবি জানাই। আমরা নিরাপত্তা না পাওয়া পর্যন্ত এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।
এদিকে বাম ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জামাল নজরুল ভবনের’ সামনের সড়কে জড়ো হয়ে মিছিলটি শুরু করেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় সেখানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ‘শিবিরের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস, ছাত্রদলের অঙ্গীকার’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভের বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আজকে রাবি ছাত্রদল নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল করেছে। আমরা বামদলের ডাকা কর্মসূচির বিষয়ে আমাদের আগ্রহ নেই। আমাদের প্রতিবাদ গণঅভ্যুত্থান পর কোন শিক্ষার্থী ফিজিক্যাল আহত হোক তা আমরা মেনে নিবো না। এই বার্তা স্পষ্ট হানাহানি সন্ত্রাসী রাজনীতি জন্য আমরা গণঅভ্যুত্থান করেনি। এই ক্যাম্পাসে তর্ক হবে বির্তক হবে। মত আদর্শের ভিন্নতা থাকবে। এর মানে এই নয় কাউকে হামলা করে দমন করতে হবে। আমরা আজ শিবির কর্তৃক এই হামলা নিন্দা জানাচ্ছি। সে সাথে ব্যর্থ প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ করেছেন। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিব।
কেকে/এআর