ময়মনসিংহের ভালুকায় সাইদুল (৪০) নামে এক ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন (৭৫) ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী হাফেজা বেগম (৪৫) নামে দুইজনকে কোদাল ও কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় আরো দুই জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকালে উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামে। ঘাতক ওই এলাকার আফতাব উদ্দিনের ছেলে সাইদুলকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসি।
নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন ওই এলাকার মৃত সলিম উদ্দিনের ফকিরের ছেলে এবং হাফেজা বেগম ওই এলাকার সহিদের স্ত্রী।
ঘটনার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি তবে স্থানীয়রা বলছেন, সাইদুল কয়েকদিন যাবৎ মানসিক ভারসাম্যহীনের আচরণ করছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকালে বাড়ীর উঠানে বসে আশরাফ উদ্দিন ধান মাপ ছিলেন। সাইদুল হটাৎ করে পিছন থেকে এসে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে আশরাফ উদ্দিন গুরুতর আহত হয়, পরে স্বজনরা আশরাফ উদ্দিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফ উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করে। এছাড়াও আশরাফ উদ্দিনকে আঘাত করে বাড়ীতে গিয়ে বড় ভাইয়ের স্ত্রী হাফেজা বেগমকে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন ঘাতক সাইদুল ইসলাম। এ সময় একই গ্রামের কালু সিকদারের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান সিকদার, ফয়েজ উদ্দিনের স্ত্রী লাইলী বেগম আহত হয়েছে। আহতদেরকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসি সাইদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ভালুকা মডেল থানার পুলিশ। স্থানীয় জামাল উদ্দিন ঘটনার খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত সাইদুলকে আটক করা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, এ ঘটনায় ঘাতক সাইদুলকে আটক করা হয়েছে এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনার কারণ উদঘাটন করতে পুলিশ তদন্ত করেছে।
কেকে/ এমএস