স্থানীয় পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তা তৈরী ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নীলসাগর কনজ্যুমার প্রোডাক্টস্ লিমিটেডের দুই দিনের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা সমাপ্ত হয়েছে।
রোববার (১১ মে) বিকালে জেলা শহরের স্টাফ কোয়ার্টার মোড় সংলগ্ন নীলসাগর গ্রুপের পরিবহন বিভাগ মিলনায়তনে এ সমাপণী অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপণী অনুষ্ঠানে নীলসাগর গ্রুপের ডোর টু ডোর প্রকল্পের ইনচার্জ মো. আওরঙ্গজেব সুজনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন ডোর টু ডোর প্রকল্পের চীফ মনিটরিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম লিটন, নীলসাগর গ্রুপের মানব সম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক নূর-এ-আলম সিদ্দিক, নীলসাগর কনজ্যুমার প্রোডাক্ট লিমিটেডের হেড অফ কনজ্যুমার আহসান হাবিব বিপ্লব, ডোর টু ডোর প্রকল্পের বিজনেস ডেভলপমেণ্ট কর্মকর্তা মো. আহসানুল কবীর মুকুট, দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন, নীলসাগর এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (ফিডমিল ইউনিট) সহকারী ব্যবস্থাপক সঞ্জীব কুমার সাহা, অনুভব ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর নাজমুল হক প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ডোর টু ডোর প্রকল্পের মনিটরিং কর্মকর্তা উত্তম কুমার তরফদার।
এর আগে দিনব্যাপী প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান হাবীব লেলিনের প্রতিনিধি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও প্রফেশনাল ট্রেইনার শাহ্ মমিনুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি অংশগ্রহণকারীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রয় কৌশল, ভোক্তা মনোবিজ্ঞান, সময় ব্যবস্থাপনা এবং উদ্যোক্তা মানসিকতা গঠনের ওপর বাস্তবভিত্তিক নির্দেশনা প্রদান করছেন।
ডোর টু ডোর প্রকল্পের চীফ মনিটরিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম লিটন জানান, মূলত এ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ পর্যায়ের বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের ‘ডোর টু ডোর’ বিক্রয় ব্যবস্থায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে, যাতে তারা নিজেরাই স্বাবলম্বী হতে পারেন এবং স্থানীয় বাজারে দেশীয় পণ্যের চাহিদা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। এ ধরনের প্রশিক্ষণ তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতে একটি বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ উন্মোচনে সহায়ক হবে। শেষে ১৫০জন অংশগ্রহণকারীর নারী উদ্যোক্তার মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১০ মে) কর্মশালাটি শুরু হয়। এদিন কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে এমন কর্মশালা অত্যন্ত সময়োপযোগী। সরকার যেমন বেকারত্ব হ্রাসে নিরলসভাবে কাজ করছে, তেমনি বেসরকারি খাতের এ ধরণের উদ্যোগও প্রশংসনীয়।’
কেকে/ এমএস