কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মৌলভীরকুম এলাকায় শিশু ধর্ষণকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় সকল শ্রেণিপেশার লোকজন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল ১১টায় চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়।
জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার মৌলভীরকুম এলাকায় ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গত ৩ মে চকরিয়া থানায় ভুক্তভোগী বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ধর্ষক সাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করেনি। বরং ধর্ষকের পরিবারের লোকজন উল্টো ধর্ষিতার পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এতে ক্ষোভ বিরাজ করে স্থানীয় লোকজনের মাঝে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা ধর্ষককে দ্রত গ্রেফতার ও ধর্ষিতার পরিবারকে নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন করেন। আয়োজিত মানববন্ধনেরধর্ষিতার পিতা-মাতা, চকরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ এম ওমর আলী, তরুণ রাজনীতিবিদ হাফেজ এহসানুল হক, সাধারণ শিক্ষার্থী সংসদ চকরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম ইমরুলসহ ওই এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
চকরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ওমর আলী বলেন, ধর্ষণের আখড়া বানতে এ দেশ স্বাধীন করা হয়নি। গত ১৭ বছরে দেশটাকে ধর্ষকদের স্বর্গরাজ্য বানানো হয়েছে। অতীতে ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি বলে আজো ধর্ষকরা উল্লাসে মেতে উঠছে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে নারী সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যৌন কর্মীদের শ্রমিকের মর্যাদা দেয়ার জন্য সংস্কার প্রস্তাব আনা হয়েছে, তা খুবই দুঃখজনক। দেশকে যৌন কারখানায় পরিণত করার একটি চক্রান্ত, নারী সংস্কার কমিশনের এ প্রস্তাব প্রত্যাখানসহ নারী সংস্কার কমিশন বাতিলেরও দাবি করেন। অন্যদিকে চকরিয়া পৌরশহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভীরকুম এলাকায় শিশু ধর্ষণকারিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি করেন তিনি।
সমাজসেবক এহেছানুল হক বলেন, ধর্ষিতার পরিবার আমার বাড়ির নিকটে, এটি দুঃখজনক ঘটনা। তিনি দ্রুত ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের দাবি করেন। বিক্ষোভ ও মানববন্ধনকারিরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শেষে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেন।
কেকে/এএম