মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু আসার কারণে খামারিদের ওপর প্রভাব পড়েছে। কোনো খামারি বৈধ কাগজপত্র নিয়ে রামু উপজেলা ও তার আশপাশে বিভিন্ন বাজারে গরু নিতে গাড়িতে পরিবহন করলে বার্মিজ গরু বলে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
এতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় গরু খামারিরা। ব্যবসায়ীদের গরু আটক করার অভিযোগ উঠেছে ৩০ বিজিবির বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীদের দাবি সীমান্ত দিয়ে আসা অবৈধ গরু-মহিষ আটকে উল্লেখযোগ্য তৎপরতা নেই বিজিবির, অথচ সরকারিভাবে ইজারাকৃত বাজার থেকে ক্রয়কৃত বৈধ গরু আটক করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ নিয়ে প্রান্তিক খামারি ও ব্যবসায়ী মহলে চরম উদ্বেগ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বিজিবির গরু আটকের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান, জেলা প্রশাসনের স্থায়ী পশুর হাট রামুর চাকমারকুল বাজার থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে রশিদ সহকারে ১৮টি গরু ক্রয় করে ঢাকার উদ্দশ্যে যাত্রা করছিলেন। প্রতিমধ্যে রশিদ নগর পর্যন্ত পৌঁছালে উক্ত গরু বোঝায় গাড়ি বিজিবি আটকে দেয়। ক্রয়ের বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বিজিবির সদস্যরা কোনো কথাই শুনতে চাননি। তারা গরুগুলো ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
এদিকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবুল বাশার ন্যায়বিচারের আশায় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিবিধ মামলা নং ১/২০২৫ এর মাধ্যমে গরুগুলো নিজ জিম্মায় পেতে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রামু থানা অফিসার ইনচার্জকে আগামী ৭ মে এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে রামুর ব্যবসায়ীরা জানান, ক্রয়ের যথাযথ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বিজিবি বৈধ গরু আটক করছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীদের নিঃস্ব হয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। একই সঙ্গে মূলধন হারিয়ে অনেক ব্যবসায়ী পশু ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবেন।
চাকমারকুল বাজার ইজারাদার জাবেদ ইকবাল জনান, রামুর চাকমারকুল বাজার জেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত একটি স্থায়ী পশুর হাট। যেখানে সপ্তাহে সাত দিনই পশু বেচাকেনা করা হয়। এমতাবস্থায় বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও বিজিবির গরু আটক প্রান্তিক খামারি ও ব্যবসায়ীদের চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করছে। এ ব্যাপারে রামুর খামারি ও ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে রামু থানা অফিসার ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, আদালতের একটি আদেশনামা পেয়েছেন। আদেশনামা পর্যালোচনা এবং বিজিবির সঙ্গে কথা বলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের কথা জানান।
কেকে/এএস