অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর সাবেক মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস প্রকৌশলী মো. শাহরিন ইসলাম তুহিনের সকল মামলা প্রত্যাহার এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দেশ বিদেশের ৩৭৩ জন প্রকৌশলী।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রকৌশলী মো. শাহরিন ইসলাম তুহিনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে এক-এগারোর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়, যার সবই ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে গত ২৯ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে আদালতে জামিনের আবেদন জানালে তা নামঞ্জুর করে শাহরিন ইসলাম তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার দুটি বিশেষ আদালত।
বিবৃতিতে তারা বলেন, নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হওয়ার কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। তিনি শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী এবং প্রকৃত জাতীয়তাবাদী ও দেশপ্রেমিক একজন প্রকৌশলী। কর্মজীবনে তিনি দেশের উন্নয়ন ও প্রকৌশলী সমাজের কল্যাণে অসামান্য অবদান রেখেছেন। আমরা শাহরিন ইসলাম তুহিনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা মামলাগুলোর অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির জোরালো দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশের জনগণ একটি বৈষম্যহীন, ন্যয়ভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তি কেবল তার ব্যক্তিগত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, বরং ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে সেই কাঙ্খিত বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থার পুনঃনির্মাণ এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনেই অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে প্রকৌশলীরা আরো বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিন একজন নিষ্ঠাবান, দেশপ্রেমিক ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব, যিনি জাতীয় উন্নয়নে সবসময় নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তাকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হয়রানি করা কোনোভাবেই ন্যয়সঙ্গত নয়।
অতএব, ন্যয়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এবং দেশের উন্নয়নের ধারা ফিরিয়ে আনতে প্রকৌশলী মো. শাহরিন ইসলাম তুহিনকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ ও তা দ্রুত কার্যকর করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিবৃতির সাথে একমত পোষণকারী প্রকৌশলীদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. খালেদ হাসান পাহিন, রুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এস এম আব্দুর রাজ্জাক পিএইচডি, এ্যাবের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আশরাফ উদ্দিন বকুল, ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ এনডিসি, পিএসসি (অব.), প্রকৌশলী মো. সেলিম ভূঁইয়া পিইন্জ, প্রকৌশলী একে এম আজাদ রাহমান, প্রকৌশলী রকিবুল ইসলাম তালুকদার, আইইবি ঢাকা সেন্টারের চেয়াররম্যান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন তালুকদার, প্রকৌশলী আইইবির সন্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডক্টর মো. সাব্বির মোস্তফা খান, এ্যাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবাসী প্রকৌশলী ইকরামুল হক রোকনী, সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী মো. আওলাদ হোসেন বাচ্চু, সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী মো. ফারুকুজ্জামান মিয়া, ইলেক্ট্রিক্যাল ডিভিশন চেয়াররম্যান প্রকৌশলী মো. মোতাহার হোসেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর ঢাকার পরিচালক প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান জিয়া, সাবেক ছাত্রনেতা মো. কামরুজ্জামান (জামান), এ্যাবের সাবেক সহসভাপতি এবং ঢাকা সেন্টারের ভাইস চেয়াররম্যান প্রকৌশলী মো. কামারুল হাসান উজ্জ্বল, এ্যাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী শামীম রাব্বি, এ্যাবের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী মো. যুবরাজ হোসেন, রুয়েট ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা মো. কামরুজ্জামান (রোমান), রুয়েট ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিন, জিয়া পরিষদ রাজশাহী মহানগরের সভাপতি প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. আখতার হোসেন, আইবি রাজশাহী কেন্দ্রের সন্মানী সম্পাদক ও রুয়েটের যন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার, এ্যাবের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী মো. আব্দুল মমিন তালুকদার (প্রিন্স), সাবেক ছাত্রনেতা মো. আসাদুজ্জামান (দুলাল), এ্যাবের সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী বদরুল ইসলাম রুবেল, প্রকৌশলী কামাল হোসেন, প্রকৌশলী নাজমুল হক সুমন, সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান (সাজু), সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম পিইন্জ, সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জার্জিস হাসান, সন্মানী সহ-সাধারণ সম্পাদক নুর আমীন লালন, এ্যাব ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী কে এম ফারজাদুল ইসলাম মিরণ এ্যাব ঢাকা বিভাগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. ফাজলে রাব্বি রনি, ইয়ং ইঞ্জিনিয়ার্স চেয়াররম্যান প্রকৌশলী মো. তোফাজ্জল হোসেন সুজন, প্রকৌশলী সরিফুদ্দিন মিল্টন, প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান, প্রকৌশলী আহম্মদ আব্দুল মালেক দিনার, প্রকৌশলী মো. আতিকুর ইসলাম হিরু, প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জনি, প্রকৌশলী মির্জা মো. সাঈদ হাসান, প্রকৌশলী অনিক ইসলাম নির্ঝরসহ অন্যান্য প্রকৌশলীবৃন্দ।
কেকে/এজে