এ দেশের মানুষ কোনো চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও খুনিদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। স্বাধীনতার পর থেকে এদেশের মানুষ নানা দলের শাসন দেখেছে। প্রত্যেক দলই জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। কেউ নিয়েছে নৌকা মার্কা, অথচ নৌকা চালাতে পারে না। কেউ নিয়েছে ধান মার্কা, অথচ ধান চাষ করে না। কেউ নিয়েছে লাঙল মার্কা, অথচ লাঙল চালাতেও জানে না।
কিন্তু আমরা হাতপাখা মার্কা নিয়ে এসেছি, যা আমরা ব্যবহার করতে পারি। হাতপাখা ছোট-বড় সবার প্রয়োজন, ধনী-গরিব সবার প্রয়োজন। তাই আগামী নির্বাচনে হাতপাখা জিতলে জিতবে দেশের জনতা, জিতবে মানবতা, জিতবে অসহায়, বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষেরা।
বুধবার (২০ আগস্ট) ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, চরমোনাই কওমিয়া শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ মাহফুজ আহমাদের সঞ্চালনায় ‘৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশ’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম এ মন্তব্য করেন।
চরমোনাই পীর আরো বলেন, বৈষম্যহীন দেশ গড়ার লক্ষ্যে ৫ আগস্ট আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় জানিয়েছিলাম। কিন্তু ৫ আগস্টপরবর্তী সময়ে বৈষম্য কমার পরিবর্তে দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বললে বিএনপির গায়ে লাগে, খুনিদের বিরুদ্ধে বললে বিএনপির গায়ে লাগে, দখলদারদের বিরুদ্ধে বললেও বিএনপির গায়ে লাগে। এমনকি বিএনপি এখন দেশের মসজিদগুলোর ইমামদের কণ্ঠস্বর রোধ করারও চেষ্টা করছে। আমরা আর কোনো চাঁদাবাজ, খুনি ও দখলদারদের ক্ষমতায় দেখতে চাই না।
তিনি আরো বলেন, সবার দুর্নীতি ও দুঃশাসন দেখে এদেশের মানুষ নতুন করে আবার ইসলামের দিকে ছুটছে, ইসলামকে কাছে টেনে নিচ্ছে। আগামীর বাংলা হবে ইসলামের বাংলা। ৯২% মুসলমানের এই দেশে সংসদ চলবে কুরআনের আইনে।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মিশকাতুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এই শতাব্দী হচ্ছে ইসলাম বিজয়ের শতাব্দী। এই শতাব্দীতে ইসলাম স্বমহিমায় পুনরায় ফিরে আসবে। আমরা দক্ষ যোগ্য ও নৈতিকতার সমৃদ্ধ জনশক্তি তৈরি করতে পারলে আমাদের মাধ্যমেই ইসলাম পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চরমোনাই কওমিয়া মাদ্রাসার প্রধান আদিব, মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমী, শাখার সাবেক সভাপতি ও চরমোনাই পীরের একান্ত সচিব মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, শাখার সাবেক সভাপতি ও চরমোনাই কওমিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র উস্তাদ মুফতি জালালুদ্দিন মুলাদী, শাখার সাবেক সভাপতি ও চরমোনাই কওমিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র উস্তাদ মুফতি সাঈদুর রহমান।
শাখার সাবেক সভাপতি ও চরমোনাই কওমিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র উস্তাদ মুফতি রহমাতুল্লাহ চাঁদপুরী, শাখার সাবেক সভাপতি ও চরমোনাই কওমিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র উস্তাদ মুফতি মোশাররফ হোসাইন দিনাজপুরী, শাখার সাবেক সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মুহাম্মাদ সাঈদুল ইসলাম, শাখার সাবেক সহসভাপতি মুহাম্মাদ ইসমাঈল শহিদ প্রমুখ।
কেকে/এএস