বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুটি মামলায় জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হওয়ায় এ ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে দলটি। একই সময় তারেক রহমানের দেশে ফেরার গুঞ্জনের মধ্যে তুহিনের গ্রেফতারকে অনেকে ‘সতর্কবার্তা’ হিসেবেও দেখছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে হাজারো রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া চললেও তুহিনের বিরুদ্ধে পুরোনো মামলা বহাল রাখা এবং তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বৈষম্যমূলক আচরণের উদাহরণ। এ গ্রেফতারের প্রতিবাদে ঢাকাসহ দেশজুড়ে প্রকৌশলী সমাজ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। ফলে বিষয়টি ক্রমেই জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
২০০৭ সালে দুদকের দায়ের করা কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, দীর্ঘসময় ধরে অগ্রগতিহীন থাকা মামলায় তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অশোভন।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হওয়ায় তুহিনকে টার্গেট করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এ গ্রেফতার মূলত জিয়া পরিবারের প্রতি একটি ‘সতর্কবার্তা’। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দুদক এ অভিযোগ নাকচ করে জানিয়েছে, মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে চলমান এবং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি নিছক আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হলেও, এর তাৎপর্য রাজনৈতিক অঙ্গনেও গভীর। অতীতে তারেক রহমানকে ঘিরে যেভাবে রাজনৈতিক ও আইনগত চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে, তুহিনের গ্রেফতারকেও সে প্রেক্ষাপটেই দেখা যেতে পারে।
প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির নেতাকর্মীরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। নিউইয়র্কে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘দেশে এখনো প্রশাসনের স্তরে স্তরে আগের সরকারের প্রভাব রয়ে গেছে বলেই প্রকৌশলী তুহিনের জামিন বাতিল হয়েছে। এটি শুধু আইনগত নয়, একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রকৌশলী তুহিন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকার কারণেই তাকে টার্গেট করা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ।’
গিয়াস আহমেদ অভিযোগ করেন, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর অধিকাংশই ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সে মামলাগুলোর বিচার এখনো চলছে, অথচ বহু প্রমাণ ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এসব মামলা বাতিল হওয়ার কথা ছিল।
তিনি আরো জানান, তুহিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালীন বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছেন। এমনকি কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ জাতীয় নানা ইস্যুতেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।
প্রকৌশলী তুহিনের জামিন নামঞ্জুর হওয়ার ঘটনা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ‘এটি কি শুধুই আদালতের রায়, নাকি উচ্চমহলের অদৃশ্য নির্দেশনা?’ এমন প্রশ্ন তুলেছেন গিয়াস আহমেদ। তিনি অবিলম্বে প্রকৌশলী তুহিনের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলোর দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত ও পর্যালোচনার দাবি জানান।
এ ঘটনা ঘিরে রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে তুহিনের নির্বাচনি এলাকা নীলফামারী পর্যন্ত প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রকৌশলীদের জাতীয় সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)’-এর ব্যানারে রাজধানীসহ বিভাগীয় ও আঞ্চলিক শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই দাবিতে ‘এক্স-জেসিডি ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (ইইবি)’-ও রাজপথে সক্রিয় হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ফলে গ্রেফতারের পেছনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
শনিবার দুপুরে রংপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে রংপুরস্থ নীলফামারীবাসী ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতাকর্মীরা। বক্তারা বলেন, প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে রংপুর অঞ্চল অচল করে দেওয়া হবে। ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারের সময় জিয়া পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এনবিআর ও দুদককে ব্যবহার করে শাহরিন ইসলাম তুহিনের বিরুদ্ধে তিনটি ‘মিথ্যা’ মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৮ সালে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে এক মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর পর চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে দুটি পৃথক আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
বক্তারা অভিযোগ করেন, আইনি প্রক্রিয়ার নামে প্রকৌশলী তুহিনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তারা বলেন, দ্রুত তার নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া হলে রংপুর অঞ্চল অচল করে দেওয়া হবে এবং বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথে জবাব দেওয়া হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রংপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, সিনিয়র নেতা সালেকুজ্জামান সালেক, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, সহসাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুইডেন, জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা ইনামুল হক মাজেদী এবং জিয়া পরিষদের বিভাগীয় সভাপতি ড. রোকনুজ্জামান রোকন। এ ছাড়া মানববন্ধনে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উত্তরাঞ্চল ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের ব্যানারে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ফোরামের সভাপতি প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী মন্নুর আহমেদের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিপুলসংখ্যক পেশাজীবী, ছাত্র ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সাবেক সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশিদ। মানববন্ধনে বক্তারা প্রকৌশলী তুহিনের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের প্রতি সরকারের আচরণ সম্পূর্ণরূপে অন্যায় ও অমানবিক। তিনি বলেন, ‘সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত সবার প্রতি সমানভাবে বিচার নিশ্চিত করা। ন্যায়ের মানদণ্ড যদি সবার জন্য সমান না হয়, তবে জনগণের মাঝে বৈষম্য ও ক্ষোভ সৃষ্টি হবে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু জুলাই ও আগস্ট মাসেই আমরা দেখেছি কত রক্ত ঝরেছে, কত মানুষকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। দীর্ঘদিন যারা এ দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালিয়ে গেছে, মানুষের অধিকার হরণ করেছে, তারা আজও বিভিন্নভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করছে। শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের ঘটনায়ও সেই চিত্রই ফুটে উঠেছে।’
মো. হারুনুর রশিদ আরো বলেন, ‘শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের জন্য কেন ইঞ্জিনিয়ারদের রাস্তায় নামতে হবে? কেন তাদের কর্মসূচি দিতে হবে? এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা স্পষ্টভাবে জানতে চাই, বর্তমান সরকারের মধ্যে আর নতুন কোনো সরকার আছে কিনা, নাকি কেউ পেছন থেকে সরকার চালাচ্ছে তা পরিষ্কার হওয়া জরুরি।’
তিনি অভিযোগ করেন, একই ধরনের মামলায় আব্দুল্লাহ তাহেরের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হলেও শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে আইনি প্রক্রিয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ‘এটা শুধু অন্যায় নয়, বরং অমানবিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ,’ মন্তব্য করেন তিনি।
মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে, জিয়া পরিবারের প্রতি যে অসম্মান করা হচ্ছে, এটা সরকারের উচিত নয়।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘কেন একজন প্রকৌশলী বৈষম্যের শিকার হবেন? কেন তাকে ন্যায়ের পথে হাঁটার সুযোগ দেওয়া হবে না?’ তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি ন্যায়বিচার না পাই, যদি সরকারের পক্ষ থেকে সদুত্তর না আসে, তাহলে শুধু ইঞ্জিনিয়াররা নয়, প্রয়োজনে জাতীয়তাবাদী দল এবং পেশাজীবীরা একত্রিত হয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
তিনি আরো জানান, ‘আগামীকাল (রোববার) অফিস খুললে আমি নিজেই খোঁজ নেব তুহিনের ফাইল প্রধান উপদেষ্টার টেবিলে কেন যায়নি, কে বা কারা এটি আটকে রেখেছে, এবং কেন সমমানের অন্যদের ফাইল অনুমোদন পেলেও তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এসব প্রশ্নের জবাব চাইব।’
তিনি আরো বলেন, ‘আইনের শাসন এবং ন্যায়ের প্রশ্নে প্রকৌশলী তুহিনের মুক্তি এখন সময়ের দাবি। আমরা এর প্রতিবাদে রাজপথে আছি এবং থাকব।’
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২৯ এপ্রিল প্রকৌশলী তুহিন আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলেও ঢাকার দুটি বিশেষ জজ আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অথচ একই ধরনের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ‘ক্লিন শিট’ দেওয়া হয়েছে। বক্তাদের অভিযোগ, তুহিনের ক্ষেত্রে এখনো সেই রাজনৈতিক সহনশীলতা বা ন্যায্যতা দেখা যায়নি।
বক্তারা আরো বলেন, মামলার নথিপত্র আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার দফতরে পাঠানো হলেও মামলাগুলো প্রত্যাহারে বাধা সৃষ্টি করছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া (সাথী) এবং সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না। তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছেন বলে বক্তাদের দাবি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং দলীয় নেতৃত্বের আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণেই প্রকৌশলী তুহিনকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চলছে। তারা অবিলম্বে সব মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। অন্যথায় দেশব্যাপী প্রকৌশলী সমাজকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী শামিম রাব্বি সঞ্চয়। আরো বক্তব্য দেন উত্তরাঞ্চল ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোর্তুজা, সহসভাপতি প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম খান, প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা, প্রকৌশলী মো. ফজলা রহমান, প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইনুল হক জেমস, আমিনুল ইসলাম রিমন, প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলী, প্রকৌশলী মনোতোষ কুমার পাল, প্রকৌশলী আতিকুর রহমান আতিক, প্রকৌশলী আলমগীর মিয়া ও প্রকৌশলী মো. জামিল উদ্দিন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. মঞ্জুর আলী, প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান জিয়া, প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম, মুকতাদীর বিল্লাহ্, প্রকৌশলী এ এস এম কবির, প্রকৌশলী মো. ইফতেখার, প্রকৌশলী মো. রাজুসহ ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
কেকে/ এমএস