আবারও শুরু হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম।আগামীকাল রোববার উদ্বোধন হচ্ছে জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুড়িয়ে দেওয়া অফিস ভবনটি। প্রায় ৪ মাসের সংস্কার কাজের পরে ভবনটি নতুনভাবে ব্যবহারের উপযোগী হয়েছে। গত মাসে উদ্বোধনের কথা থাকলেও সার্ভার জটিলতার কারণে তা পিছিয়ে যায়।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা গণপূর্ত বিভাগ এর পুনঃসংষ্কার শেষে ভবনটি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ৯ মাস ধরে বন্ধ ছিল এ অফিসের কার্যক্রম। এরমধ্যে ৪ মাস ধ্বংস হয়ে ভবনটি ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল জুলাইয়ের স্মৃতি হয়ে। এরপর নভেম্বরে শুরু হয় এর সংস্কার কাজ। জুলাই বিপ্লবের আগে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানকে পরবর্তীতে নরসিংদীতে বদলী করা হয়। সংস্কার শেষে উপ-পরিচালক হসেবে শামীম হোসেন নিয়োগ পেয়েছেন।
পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নারায়ণগঞ্জ সাইনবোর্ড সংলগ্ন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে অফিস ভবন, আসবাসপত্রসহ গ্রাহকদের বিতরণের জন্য প্রস্তুত আট হাজার পাসপোর্ট পুড়ে যায়। এতে তিন কোটি ২৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ভবনটি পুড়ে যাওয়ার পরে নারায়ণগঞ্জকে তিন জোনে ভাগ করে পার্শ্ববর্তী তিন জেলার আঞ্চলিক অফিস থেকে সেবা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। নারায়ণগঞ্জ সদর ও ফতুল্লার বাসিন্দারা কেরানীগঞ্জ, সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারের বাসিন্দারা নরসিংদী এবং বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দাদের মুন্সীগঞ্জ জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে সেবা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তবে উত্তরায় কর্মরত নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বে থাকা জামাল হোসেন জানান, আপাতত কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে না। তবে রোববার থেকে শুরু হবে পাসপোর্টের আবেদনের কাজ। উপ-পরিচালক হিসেবে মো. শামীম হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি পরবর্তীতে কাজে যোগ দিবেন।
পাসপোর্ট অফিস সংস্কার কাজ সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জ জেলা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, ভৌত অংশের জন্য ৮২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়াও ইলেকট্রিক্যালসহ অন্যান্য খরচ রয়েছে। নির্ধারিত তিনমাস সময়ের মধ্যেই কাজটি শেষ হয়েছে।
কেকে/এআর