হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বিএনপি নেতা ইলিয়াস মিয়ার বাড়িতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ টি টিউবওয়েল নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। কোন ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া টিউবওয়েল বিতরণ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সচেতন মহলে। প্রশ্ন উঠেছে জনস্বাস্থ্য ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকি নিয়ে। এদিকে তালিকা চূড়ান্তের আগে যাচাই-বাছাই করা হয়নি বলে স্বীকারও করেছেন জনস্বাস্থ্যের উপসহকারী প্রকৌশলী। এর ফলে যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা বঞ্চিত হয়েছেন সরকারি টিউবওয়েল থেকে।
জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ৭৮ টি টিউবওয়েল বরাদ্দ আসে। এর মাঝে ২ টি টিউবওয়েল স্ত্রী ও ভাইয়ের নামে বাগিয়ে নিয়েছেন বিএনপি নেতা ইলিয়াস মিয়া নামে একব্যক্তি। সে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।
টিউবওয়েলের জন্য আবেদনকারী আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তি জানান, আমরা যথা নিয়মে আবেদন করেও একটি টিউওবওয়েল পাইনি। ফলে চরম পানি কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে আমাদেরকে। অপরদিকে বিএনপি নেতার পরিবারকে ২ টি টিউবওয়েল দেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের রহিমা বেগম ও আব্দাল মিয়া নামে ২ ব্যক্তি দুটি টিউবওয়েল বরাদ্দ পান। রহিমা বেগম বিএনপি নেতা ইলিয়াসের স্ত্রী এবং আবদাল মিয়া তার আপন ছোট ভাই। সম্প্রতি টিউবওয়েল দুইটি স্থাপনের কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। টিউবওয়েল দুইটির দূরত্ব ২০০ ফুটেরও কম অথচ ১০ টি পরিবারের বিপরীতে ১ টি টিউবওয়েল দেওয়ার বিধান রয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্যের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, আবদাল এবং রহিমা বেগম সম্পর্কে যে দেবর-ভাবি এবং তাদের একই বাড়ি সেটি তালিকা চুড়ান্ত করার আগে ভেরিফাই করা হয়নি তাই এমন হয়েছে।
একই বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব হোম দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব টিউবওয়েল আমরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদেরকে দিয়ে দিয়েছিলাম, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
কেকে/এআর