২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৬ শতাংশ।
শুক্রবার (২ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি একাডেমিক ভবনে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ইবি কেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত ৬ হাজার ৯২৪টি আসনের বিপরীতে বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশ নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষাটি কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
পরীক্ষা উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও রাজবাড়ী জেলা থেকেও পরীক্ষার্থীদের বড় অংশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের পছন্দের কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেয়।
ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নানামুখী প্রস্তুতি নেয়। প্রধান ফটকে হেল্প ডেস্ক স্থাপনসহ পরীক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনায় সহায়তা করে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রোকসানা মিলি, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বাবলী সাবিনা আজহারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
পরীক্ষার সময় হল পরিদর্শন করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, পরীক্ষাটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। আমরা পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি, তারা জানিয়েছে প্রশ্নপত্র ভালো হয়েছে এবং পরিবেশও যথেষ্ট সহায়ক ছিল। উপস্থিতির হার প্রায় ৯৬ শতাংশ।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, পরীক্ষা সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে শেষ হবে এবং ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ফলাফলের অপেক্ষায় ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে থাকবে।
কেকে/এএম