রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে চৈত্র সংক্রান্তিতে প্রথমবারের মতো ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী। সাথে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশীদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পরিচালক তানজিউল ইসলাম জীবন, ছাত্র উপদেষ্টা ইলিয়াস প্রামাণিকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
প্রথমবারের মতো এ ঘুড়ি উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
ঘুড়ি উৎসবে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ঘুড়ি উৎসবে অংশ নেয়া একজন ঘুড়িওয়ালার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন, তবে আমি চেষ্টা করছি। আমার মনে এখন উত্তেজনা আর আনন্দের এক মিশ্রণ। শুরু থেকেই আকাশে কত রঙের ঘুড়ি উড়ছে! লাল, নীল, হলুদ, সবুজ- যেন এক বিশাল রঙিন মেলা বসেছে। আমার নিজের ঘুড়িটাও পতপত করে উড়ছে, বাতাসের তালে তালে নাচছে। যখন প্রথম ঘুড়িটা আকাশে ওড়াই, তখন মনে হয় যেন আমিও পাখির মতো উড়ছি। সুতার টানে ঘুড়ির সাথে আমার একটা অদৃশ্য যোগসূত্র তৈরি হয়।’
এ সময় বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, ‘ঘুড়ি উৎসব উদযাপন আবহমান গ্রামীণ বাংলার একটি ঐহিত্য। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের অংশগ্রহণে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ক্যাম্পাসে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
উপাচার্য আরো জানান, ‘পহেলা বৈশাখে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বাঙালি সমাজের সংস্কৃতি তথা উত্তরবঙ্গের কৃষ্টি কালচার তুলে ধরা হবে। এছাড়া ২২টি বিভাগের আয়োজনে বৈশাখী মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
কেকে/ এমএস