ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ভীড়ে মুখরিত হয়ে ওঠেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবান। সবুজ পাহাড় আর নীল আকাশ দেখতে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের ঢল নেমেছে পাহাড় ঘেরা বান্দরবানে। রমজানের কারণে দীর্ঘদিন পর্যটনকেন্দ্রগুলো ফাঁকা থাকলে ও এখন পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর বান্দরবানের সকল পর্যটনকেন্দ্র। হোটেল আর রির্সোটগুলোতে বেড়েছে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা।
১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি আর বাঙালিদেরসহ অবস্থানসহ অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্রে ঘেরা বান্দরবান পার্বত্য জেলা, তাই তো যেকোনো ছুটির বন্ধে বান্দরবানে ভ্রমন করতে আসে দেশের নানান প্রান্তের পর্যটকেরা। ঈদের এবারের ছুটিতেও জেলার মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরিসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো এখন পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে।
ঢাকা থেকে বান্দরবানের মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসা পর্যটক মো.জহির জানান, বান্দরবান খুবই সুন্দর জেলা আর ছুটি পেলেই আমি পরিবার পরিজন নিয়ে বান্দরবান ঘুরতে চলে যাই।
নীলাচল পর্যটনকেন্দ্র ঘুরতে যাওয়া পর্যটক মো.শাহীন জানান, পাহাড় প্রকৃতি আর মেঘের অপরুপ জেলা বান্দরবান। বাংলাদেশে যে কয়েকটি পর্যটন এলাকা রয়েছে তার মধ্যে বান্দরবান অন্যতম। বান্দরবানে বিভিন্ন জাতিগোষ্টির বসবাস আর তার সাথে প্রকৃতির অপরুপ রুপ যে কাউকে সহজেই মুগ্ধ করে।
এদিকে বিনোদন কেন্দ্রের পাশাপাশি জেলার হোটেলগুলোতে বেড়েছে পর্যটকদের সমাগম, আর পর্যটকদের সমাগম বাড়ায় ব্যবাসীয়কভাবে লাভবান হওয়ায় প্রত্যাশা করছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদুল ফিতরের বন্ধে বান্দরবানে পর্যটকের আগমন বেড়েছে এবং বেশিরভাগ হোটেলে পর্যটকের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমরা বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্যদের নিদের্শনা দিয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত, যাতে বান্দরবানে বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে পর্যাপ্ত সেবা পায়।
এদিকে বান্দরবানে ভ্রমনে আসা পর্যটকরা যেন নিরাপদে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমন করতে পারে সেজন্য সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রশাসন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, বান্দরবান একটি পর্যটন জেলা আর এই জেলাতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে নিরাপত্তার সাথে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমন করতে পারে সেজন্য প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে আর পুলিশের পাশাপাশি ট্যুারিস্ট পুলিশের সদস্যরা ও নিয়মিত নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।
কেকে/এএম