নরসিংদীর রায়পুরায় নিজঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি রাকিব মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে পাশের জেলা কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তাকে গ্রফেতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে গৃহবধূকে ধর্ষণের সময় ভিডিওধারণকৃত ফোনসহ দুটি ফোন উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদী ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১১ নরসিংদী ক্যাম্প কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম। গ্রেফতারকৃত রাকিব মিয়া রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের রহিমাবাদ এলাকার রতন মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও রাকিব এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
র্যাব-১১ নরসিংদী ক্যাম্প কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হওয়ার পরে আসামিদের গ্রেফতারে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তী সময়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদী এবং র্যাব-১৪ ভৈরবের দুটি টিমের যৌথ অভিযানে রাকিবকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার পলতাকান্দা এলাকার মাইনু মোল্লার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
এ সময় তার তার কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিওধারণের সময় ব্যবহৃত মোবাইলসহ দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে র্যাব। পরে তার কাছ থেকে বাকি আসামিদের পরিচয় পাওয়া যায়। তদন্তের স্বার্থে এখনি তাদের পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আসামিকে রায়পুরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রোববার (১৬ মার্চ) রাতে রায়পুরার এক গৃহবধূকে নিজবাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে রাকিব। এ সময় ভিডিও ধারণ করে তার এক সহযোগী এবং অপর সহযোগী দরজায় দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়।
ঘটনাটি কাউকে জানালে স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে জবাই করে হত্যা করার হুমকিও দেয় ধর্ষক রাকিব ও তার সহযোগীরা। ঘটনার পরদিন রাতে ভুক্তভোগীর ছেলে বাদী হয়ে ধর্ষক রাকিব মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় একটি মামলা হয়।
কেকে/এএস