জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার এক বছর পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। উল্টো তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে জানতে চেয়ে রেজিস্টারের অসদাচরণের স্বীকার হয়েছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বেগম।

তাহমিনা বেগম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে আমি প্রথমে ট্রেজারার স্যারকে ফোন দিছিলাম। তিনি রেজিস্টারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। আমি রেজিস্টার অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন স্যারকে ফোন দিলে ওনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে। বলেছে আমাকে তদন্ত প্রতিবেন দেখানো যাবে না। এটা দেখতে হলে আদালতে যেতে হবে। এটা কোন ধরণের কথা! আমার মেয়ে মারা গেছে, কীভাবে কী হলো, এটা জানার অধিকার কি আমার নেই? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এতদিনেও কেন তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না, তা আমরা বোঝে আসছে না। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

তবে অসদাচরণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন রেজিস্টার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি ওনাকে (অবন্তিকার মা) উপদেশ দিয়েছি। সেই উপদেশকে ওনি অসদাচরণ মনে করলে আমার কিছু করার নেই। আমি খারাপ আচরণ করিনি। ওনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে।

এদিকে গত ১৬ মার্চ অবন্তিকার আত্মহত্যার এক বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় এবং বিচার নিশ্চিত না হওয়ার প্রতিবাদে মোমবাতি প্রজ্জ্বলিত করেছে জবি শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।

নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় তারা অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।

গত বছরের ১৫ মার্চ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। সেই পোস্টে নিজের মৃত্যুর জন্য সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন।

এ ঘটনার পরদিন তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিন মাস পরে সেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রশাসনের কাছে জমা দেয় কমিটি। গত ২ জানুয়ারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপিত হয় সেই প্রতিবেদন। কিন্তু সেই প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

কেকে/এজে