ঘন ঘন পরীক্ষা শিশুর মেধা বিকাশে অন্তরায়
অরিত্র দাস
🕐 ৯:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২০
শিক্ষা অর্জনের পথগুলো হবে জলের মতো স্বচ্ছ এবং মসৃণ। জীবনের প্রথম জ্ঞান অর্জনে ভয় নয়, উৎসাহ জাগানোটাই যেন মুখ্য হয়। প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতা। প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে সহায়তা করে বটে; কিন্তু জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে না। কেননা, প্রতিযোগিতা পরীক্ষা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। অপরদিকে জ্ঞানের শাখা-প্রশাখাকে পরীক্ষা ও প্রতিযোগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখা যায় না।
গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, সৃষ্টিশীলতার পথ রুদ্ধ করা এবং প্রতীভা ক্ষয়ের অন্যতম কারণ এই হীন, অসুস্থ প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিহিংসা পরায়ণতা তৈরি করে, প্রকৃতপক্ষে যথার্থ সদাশয় মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে সাহায্যে করে না। বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতি প্রাথমিক শিক্ষাকে মৌলিক শিক্ষা থেকে সরিয়ে নিয়ে করে ফেলেছে জিপিএ ফাইভ পাওয়ার একটা অন্তঃসারশূন্য প্রতিযোগিতা। জিপিএ ৫-এর উন্মাদনা আমাদের শিশুদের শিক্ষাজীবনকে নিরানন্দময়তা করছেই, সঙ্গে তীব্রভাবে বিষিয়ে দিচ্ছে।
জিপিএ-৫ ও ঘনঘন পরীক্ষার উদ্বেগে শিশুরা খেলোধুলা করতে পারছে না। বন্ধুদের সঙ্গে মিশে শিশুসুলভ দুষ্টুমিটুকুও করতে পারছে না। গল্প করতে পারছে না। পড়াশোনার বাইরের পৃথিবীটাকে তারা অবলোকন করতে পারছে না। ফুল, পাখি, বৃক্ষ, চন্দ্র, সূর্য, মাটি, নদী, জলের সঙ্গে তাদের দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের শৈশব বলতে কিছু থাকছে না।
কিন্তু হওয়ার কথা ছিল উল্টো। আতঙ্ক নয়, আনন্দ থাকা বাঞ্ছনীয় ক্লাসরুমে। জোর জবরদস্তি নয়, চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং শিশুদের দিতে হবে আনন্দঘন পরিবেশ। ওরা শিখবে খেলার ছলে। খেলা করবে ছড়া ও কবিতা নিয়ে। পাঠ্যবই পড়তে ভালো না লাগলে, দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের রূপকথার শিশুসাহিত্য ঠাকুরমার ঝুলি পড়বে। গোপাল ভাঁড় পড়বে।
প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট রামমোহনের মিনার কার্টুন দেখবে। ক্লাস রুমে মুখ গোমড়া করে স্তব্ধ হয়ে বসে না থেকে বরং ক্লাসের অবসরে স্কুলের মাঠে দৌড়ে-ছুটে বেড়াবে। দাবা খেলবে। ফুটবল খেলবে। গোল্লাছুট খেলবে। তবলা বাজাবে। নাচ করবে। গান গাইবে। সাঁতার কাটবে। পুকুরে মাছ ধরবে। যা মন চায় চিৎকার করে সবাইকে অকপটে জানিয়ে দেবে। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবেশ বলতে আসলে এরকম পরিবেশই বোঝায়। যা আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় দেখতে পাওয়া না গেলেও উন্নত দেশগুলোতে দেখতে পাওয়া যায়। নেদারল্যান্ডসের শিশুদের শিক্ষার জগত খেলাধুলার মতো আনন্দময়। সাবলীল। এখানে মাধ্যমিক পর্যায়ের আগে কোনো শিশুকে বাড়ির কাজ এবং পড়াশোনার চাপ দেওয়া হয় না।
ফিনল্যান্ডের প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতিও একই, কোনো শিশুকে বাড়ির কাজ দেওয়া হয় না। এ ছাড়া সাত বছরের আগে কোনো শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে পাঠানো যায় না এবং কিশোর বয়সে পা রাখার আগে তাদের কোনো ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হয় না। প্রাথমিক শিক্ষার ছয় বছর জাপানিরা শিশুদের শেখায় নম্রতা, ভদ্রতা ও নীতি-নৈতিকতা। এ ছাড়া জাপানে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। ব্রিটেনের শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা দিতে হয় না। এমনকি ‘মুখস্থবিদ্যা’ নামক শব্দটির সম্পর্কে ব্রিটেনের বাচ্চাদের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই।
অর্থাৎ উন্নত দেশে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কোনো ধরনের পরীক্ষা নেই কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশ- বাংলাদেশে সে চিত্র আলাদা। শিক্ষাদীক্ষায় সবচেয়ে উন্নত নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়াসহ ৮৭টির অধিক দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ ছয় বছর। আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয় প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। মাত্র পাঁচ বছর। ১৯৫৫ সাল থেকে এই পাঁচ বছর মেয়াদি কোর্স চলছে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায়। এর আগে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা চার বছর মেয়াদি কোর্স ছিল।
তার মানে দাঁড়াল, উন্নত দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে এদেশের শিক্ষা পদ্ধতির ব্যাপক ফারাক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শিক্ষা’ সংজ্ঞার সঙ্গে এ দেশের শিক্ষার কোনো মিল নেই। সরকারের যারা এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভাবেন বা নীতিমালা প্রণয়ন করেন, তারা বাংলাদেশের শিশু, শিক্ষার্থী, পরিবেশ এবং শিক্ষা নিয়ে দো-টানার মধ্যে আছেন বলে একটা সংশয় সাধারণ মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
বস্তুত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম দেখে মনে হয়, কর্তাব্যক্তিরা নিজেদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। তারা আসলে কি সিদ্ধান্ত নিলে বা কোন উপায় অবলম্বন করলে শিক্ষার্থীদের ভালো হবে, ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। আবার এমনও হতে পারে, তারা যেহেতু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন তাই শিক্ষা ব্যবস্থায় তাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা না রাখলে, শিক্ষা ব্যবস্থা বারংবার সংস্কার না করলে তাদের অস্তিত্ব এবং পেশা দুটোই হয়তো সংকটে পড়ে যাবে। এই ভয়ে হয়তো তারা শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙেচুরে একের পর এক অর্থহীন শিক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ন করে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘পাবলিক পরীক্ষা ছাড়া সমাপনী পরীক্ষাগুলোতে পুরো গ্রেডিং সিস্টেম তুলে দিয়ে কীভাবে মূল্যায়ন করতে পারি, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’ এ থেকে স্পষ্ট যে, হয়তো আগামীতে সমাপনী থাকবে না, তবে পরীক্ষা থাকবে। পরীক্ষার এই আনন্দহীন চক্র থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তি নেই। তাহলে এখানে একটা প্রশ্ন দাঁড়ায়, যে শিক্ষা পদ্ধতির স্থায়িত্ব নেই, ভিত্তি নেই।
এক সময় বাধ্য হয়ে তুলে দিতেই হয়। দুর্বল সৃজনশীল পদ্ধতিও একসময় তুলে দিতে হবে। তাহলে এমন শিক্ষানীতির প্রয়োগ করার দরকার ছিল কি? মোট কথা, আমাদের দেশে শিক্ষা সম্পর্কিত জ্ঞান ও দূরদর্শিতা দুটোই অত্যন্ত কম। সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রণীত শিক্ষা পদ্ধতির ভবিষ্যৎ ফলাফল কী হবে সে সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত আছেন বলেও মনে হয় না।
যার কারণে উপেক্ষিত হচ্ছে ২০১০ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’। সেখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা ও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা রাখা হবে এবং এসএসসি পরীক্ষা তুলে নেওয়া হবে। সেখানে সমাপনী (পিইসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটের (জেডিসি) কথা উল্লেখ নেই।
এর আগে স্বাধীন বাংলাদেশে আরও ছয়টি কমিশন বা কমিটি রিপোর্ট ঘোষিত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. কুদরাত-ই-খুদার নেতৃত্বে গঠিত প্রথম শিক্ষা কমিশন (১৯৭২) প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ বাড়িয়ে আট বছর করার সুপারিশ (১৯৭৪) করে। পরবর্তীতে প্রায় সব শিক্ষা কমিশনই প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ আট বছরে উন্নীত করার সুপারিশ বহাল রাখে। কিন্তু জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন হতে দেখছি না।
সরকার যতগুলো শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার করেছে তার সব যে খারাপ তা বলব না। অনেক কিছু অবশ্যই ভালো। ধীরে ধীরে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকার জাতীয়করণ করছে। যেমন বার্বাডোজ নামক দেশটির বেশির ভাগ স্কুলই সরকারি। সরকারের বিপুল বিনিয়োগের কারণে সেদেশে সাক্ষরতার হার প্রায় ৯৮ শতাংশ। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের কাজটি শুরু করেন।
পরবর্তী সময়ে তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করার কাজ শুরু করেন। সেই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের অংশগ্রহণের হার বৃদ্ধি, শ্রেণিকক্ষে লৈঙ্গিক সমতা প্রতিষ্ঠা, বিনামূল্যে বই বিতরণ, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচির মতো সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ নেন।
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে স্কুলের ছাত্রীদের সাইকেল সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে এডুকেশন-৯ ফোরামভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিশ্বের অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে এগুলো সংবিধানের মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত করার সার্বিক আয়োজন হতে পারে। শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে পারেনি।
কারণ, যে সফলতাগুলো নিয়ে এতক্ষণ কথা হচ্ছিল সেসব প্রাথমিক শিক্ষার বাহ্যিক উন্নয়ন, প্রাথমিক শিক্ষার ভেতরকার গুণগত উন্নয়ন নয়। নয় শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়ন। প্রাথমিক শিক্ষার বাহ্যিক উন্নয়ন হয়েছে, এখন প্রাথমিক শিক্ষার মনের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আর তা ঘটাতে হলে ঘনঘন পরীক্ষা পদ্ধতি তুলে দিতে হবে।
শিশুশিক্ষা উন্নয়ন ও মেধা বিকাশে প্রধান অন্তরায় প্রত্যেক শ্রেণিতে একাধিক পরীক্ষাসহ পঞ্চম শ্রেণি এবং অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা। সার্টিফিকেট ব্যতীত এ পরীক্ষা একজন শিক্ষার্থীর জীবনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে না। বরং একজন শিশু শিক্ষার্থীকে জীবনের সরল রেখাপথে হাঁটতে শুরুতেই বাধা সৃষ্টি করে। তার কোমল জীবনকে আঘাত করে। অতএব, আমরা সার্টিফিকেট চাই নাকি শিশুর মেধার উৎকর্ষ চাই-এটা একটা প্রশ্ন। আরও একটি প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, আমরা পাসের হার চাই, নাকি গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা চাই?
এত পরীক্ষা, এত প্রতিযোগিতা ও মুখস্থবিদ্যা দিয়ে যখন স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এ দেশে একজন বিশ্ববিখ্যাত ডাক্তার, বিজ্ঞানী, দার্শনিক তৈরি করা গেল না তখন শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে একটা বিপ্লব দরকার। পরীক্ষার চেয়ে জানার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, আবিষ্কারের চেয়ে উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। বাড়ির কাজের চেয়ে শিশুর মানসিক বিকাশে ও চিন্তার উৎকর্ষ সাধনে জোর দিতে হবে। পরীক্ষা মেধা মূল্যায়নের চেয়ে হতাশা তৈরি করে বেশি।
প্রতিটি স্তরে মানুষের চিন্তায়, ফলাফলে, যোগ্যতা ও দক্ষতায়, চলাফেরার, কথা-বার্তায়, আকাক্সক্ষায় পরিবর্তন আসে। সেই পরিবর্তনকে মসৃণ করতে পারে সহযোগিতা। নয়তো সমাপনী পরীক্ষায় ব্যর্থ একজন শিক্ষার্থী জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষার সময় আগের কৃত ফলাফলের কারণের হতাশায় ভুগবে। ফলে তার ভালো করার ইচ্ছাশক্তিটা হারিয়ে যাবে।
আবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার আশানুরূপ ফলাফল করতে না পারা একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় ভালো করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলবে। তাই হতাশা সৃষ্টিকারী ঘনঘন পাবলিক পরীক্ষা রদ করতেই হবে। কেননা, ঘুণে পোকা যেমন কাঠের শরীরে বাসা বেঁধে কাঠটিকে আস্তে আস্তে শেষ করে দেয় তেমনি হতাশা একজন শিক্ষার্থীকে তিলে তিলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। দুশ্চিন্তায় ভুগতে হয় অভিভাবকদের।
শিক্ষা মানে শেখা। সেই শেখায় যখন জবরদস্তি, পাস-ফেল, ভয়-আতঙ্ক, হতাশার বীজ ও আত্মহত্যার প্রবণতা থাকে। তখন শিক্ষায় আর শেখার প্রবণতা থাকে না। বস্তুত মুখস্থবিদ্যা, প্রতিযোগিতা, ঘনঘন পরীক্ষা নিছক কোনো শব্দ নয়, মেধা ধ্বংসের তিন আগ্নেয়াস্ত্র।
অরিত্র দাস : শিক্ষার্থী, আইন ও বিচার বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
[email protected]