ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হিমু এবং মিসির আলী

জাহিদুল আলম
🕐 ২:২৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০১৯

মায়ূন আহমেদকে নিয়ে লিখতে গেলে সবার আগে যেটা ভাবতে হয় তার লিখা কিংবা সৃজনশীল কাজগুলো নিয়ে যথাযথ মূল্যায়ন করা যাবে তো? কারণ, এত এত জিনিস তিনি সৃষ্টি করে গেছেন! যেখানেই হাত দিয়েছেন সেখানেই সোনা ফলিয়েছেন।

আমার তো মনে হয় গল্প উপন্যাস বাদ দিয়ে শুধু তার নির্মিত ছবি, নাটক কিংবা তার রচিত গান দিয়েই তিনি আজীবন অমর হয়ে থাকবেন। ভেবে দেখুন, বাকের ভাই, মিসির আলী, শুভ্র কিংবা হিমুর কথা। বাংলাসাহিত্য কিংবা বাঙালি জীবনে এত বেশি প্রভাববিস্তারকারী চরিত্র পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

হুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে তার লেখা যে কোনো শ্রেণীর, ধর্মের কিংবা পেশার লোক পড়েছে। আমাদের মধ্যে অনেক পাঠক আছেন বিভিন্ন কারণে যারা রবীন্দ্র পড়লে তো নজরুল পড়েন না, কিংবা নজরুল পড়লে রবীন্দ্র পড়ছেন না। তাদের মধ্যে এক ধরনের ধর্মীয়, রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক গোড়ামি কাজ করে।

কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের ক্ষেত্রে সেটা একদম প্রযোজ্য নয়। পরিবারে বাবা, মা, সন্তান-সন্ততি সবাই মিলে এক সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ পড়ছেন। সবাই একসঙ্গে টিভির সামনে বসে তার নাটক দেখছেন। সব রকমের পাঠকের কাছে তিনি যে পৌঁছাতে পেরেছেন এটা তার লেখার অন্যতম সফলতা। তার মানে তিনি সব রকম মানসিকতার মানুষের চরিত্র পাঠ করতে পেরেছিলেন এবং তার লেখায় সেটা প্রতিফলিত করতে পেরেছিলেন।

হুমায়ূনের অন্যতম বিমুগ্ধ পাঠক হচ্ছে বাঙালি তরুণ সমাজ। তরুণরা ছাত্রজীবনে সাধারণত দুই ধরনের মানসিকতার হয়ে থাকে। প্রথম ধরন হচ্ছে পড়াশোনায় খুব মনোযোগী, পরীক্ষায় ভালো ফলাফলধারী। অন্যরা হচ্ছে খাও দাও ফুর্তি কর টাইপের, পড়াশোনায় অত বেশি সিরিয়াস না। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার, এ দুই শ্রেণিই দেখা যাচ্ছে হুমায়ূন আহমেদ পড়ছে, তার নাটক দেখছে কিংবা সিনেমা দেখছে। ফলে বাঙালি সমাজে পাঠক বৃদ্ধিতে তিনি অনেক বড় অবদান রেখেছেন। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত প্রায় সবার পড়ার টেবিলে হুমায়ূন শোভা পায়। প্রতিটা বই মেলায় এরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত হুমায়ূন আহমেদের নতুন বইয়ের জন্য। কিংবা অপেক্ষা করত কখন হুমায়ূন আহমেদের নতুন সিনেমা আসছে। বাংলাদেশে সিনেমার আকালে হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন এক বিরল আলোকবর্তিকা।

এসব কিছুর একটাই কারণ, তার লেখা কিংবা তার সিনেমা পাঠক কিংবা দর্শককে নিজের জীবন সহজভাবে উপলব্ধি করতে শেখায়। সাহিত্য যদি মানব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয় তা হুমায়ূন আহমেদ সুনিপুণ দক্ষতায় দেখিয়েছেন তার নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, বহুব্রীহি, কবি, প্রথম প্রহর, এই সব দিন রাত্রি, কোথাও কেউ নেই, ‘হিমু’ কিংবা ‘মিসির আলী’র মতো সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে। সেই ১৯৭২ সালে আরেক প্রখ্যাত সাহিত্যিক আহমদ ছফার উদ্যোগে খান ব্রাদার্স থেকে নন্দিত নরকে উপন্যাস দিয়ে যে তিনি শুরু করেছিলেন, আমৃত্যু তিনি সেটা ধরে রেখেছিলেন। ‘নন্দিত নরকে’ কিংবা ‘শঙ্খনীল কারাগার’-এর মতো উপন্যাসগুলো পড়লেই বোঝা যাবে লেখক হিসেবে তার সৃজনশীলতা কত প্রখর।

হিমুর কথাই ধরুন। এর চেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র বাংলাসাহিত্যে খুব একটা বেশি পাওয়া যাবে না। সত্যজিতের ফেলুদা এবং আরও দু’চারটা পাবেন হয়তো। পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবি, গন্তব্যহীন খালি পায়ে নিরন্তর পথচলা, চাকরিহীন, উপার্জনহীন এই হচ্ছে হিমু; যে কিনা যুক্তি-তর্কের বাইরে গিয়ে জাদুময় একটা পৃথিবীতে বিচরণ করে। আমি প্রায়ই ভাবি হিমুর মতো এরকম একটা চরিত্র এত জনপ্রিয় হওয়ার কারণ কী? পরে ভাবি আমাদের প্রত্যেকের মাঝে, বিশেষ করে তরুণ বয়সে, একেকজন হিমু খেলা করে। তাই আমরা হিমুর মাঝে নিজেদের খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি। হলুদ পাঞ্জাবি পরে এরকম উদ্দেশ্যহীন জীবনযাপন এখন আমাদের অনেক তরুণ চর্চা করছে। এখন পথেঘাটে মাঝে মাঝে এরকম হিমুর দেখা পাওয়া যায়। কারণ, এরা হুমায়ূনের হিমুর মাঝে তাদের নিজের জীবনকে খুঁজে পেয়েছে। আবার অন্য দিকে মিসির আলীকে দেখেন। জগতের সব রহস্যের সমাধান তিনি তার অকাট্য যুক্তির মাধ্যমে দিয়ে দিচ্ছেন। হিমুর মতো উদ্দেশ্যহীন জীবন যে মানুষের বাস্তব জীবনের সমাধান নয় তা তিনি তার আরেক অমর সৃষ্টি মিসির আলীর মাধ্যমে বলে গেছেন। ফলে দেখা যাচ্ছে হিমুর মাঝে যদি আমরা আমাদের যৌবনকে খুঁজে পাই। মিসির আলীর মাঝে খুঁজে পাচ্ছি আমাদের পরিপক্ব বৃদ্ধকালকে।

আবার শেকশপিয়র যে বলেছেন, ‘There are more things in heaven and earth’ সেটাকেই হয়তো প্রতিধ্বনিত করার জন্যই তিনি লিখে গেছেন মিসির আলীর অমীমাংসিত রহস্য। জগতের সব রহস্য এক জীবনে সমাধান করা যায় না। মিসির আলীও সেটা পারে না। আর পারে না বলেই তিনি একটা ডায়েরি রাখেন সব সময় যেখানে তিনি তার জীবনের অমীমাংসিত রহস্যগুলো লিখে রাখেন। মানবজীবনের এই যে রহস্য ও বাস্তবতার চিরন্তন দ্বন্দ্ব তা তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন মিসির আলী এবং হিমুর মাধ্যমে।

একজন লেখকের সার্থকতা হচ্ছে তার লেখা কতটুকু সাবলীলভাবে পাঠকের অন্দরে প্রবেশ করে তার ওপর। হুমায়ূন আহমেদের মূল সফলতা এখানেই। তারগল্প, উপন্যাস সুন্দর, সাবলীল। বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজের প্রাত্যহিক জীবন এবং দুঃখ-সুখের গল্প তার লেখার মূল উপজীব্য। হয়তো মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠেছেন দেখেই বিভিন্ন সময়ে তার লেখার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল কোনো এক মধ্যবিত্ত হিমু কিংবা শুভ্রের জীবনবোধ। সিরিয়াস পাঠক মাত্রই শুরুতে হুমায়ূন আহমেদকে হয়তো খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাইবেন না। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ জোছনা ও জননীর গল্প, দেয়াল কিংবা মধ্যাহ্ন এর মতো সিরিয়াস লেখাও লিখে গেছেন।

গল্পের জাদুকর হিসেবে হুমায়ূন আহমেদকে অনেকে ডাকেন এবং তার গল্পে ‘Magic Realism’ জাদু বাস্তবতার প্রভাব দেখতে পান। মূলত অতিপ্রাকৃত বা অতিবাস্তব ঘটনাবলীকে বাস্তব হিসেবে রূপায়ণের কারণে তার গল্পে এই প্রভাব আছে বলে মনে করা হয়। আজকে হুমায়ূন আহমেদের গল্পে এর প্রভাব কতুটুকু আছে তা হয়তো সময় বলে দেবে কিংবা তা এখনো হয়তো প্রতিষ্ঠিত সত্য নয়। কিন্তু তার লেখা যে এই ধাঁচের সেটা আশা করি অনেক সাহিত্য সমালোচকরা একমত হবেন।

অনেকে আছেন হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে তার লেখক সত্তাকে মিশিয়ে ফেলেন। এমনকি অনেককে বলতে শুনেছি তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য তার লেখা পড়ে না। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন আর লেখকসত্তা কোনোভাবেই এক নয়। বিশ্ব সাহিত্যে এমন অনেক বড় বড় লেখক আছেন যাদের ব্যক্তিগত জীবন কোনোভাবেই সুন্দর নয় বা ভালো নয়। বহুগামিতা, মাদকাসক্তি, সমকামিতা কিংবা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি কারণে অনেক বড় বড় লেখক সমালোচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তারা বেঁচে আছেন তাদের কালজয়ী লেখনীর মাধ্যমে। প্রসিদ্ধ অ্যামেরিকান কবি Walt Whitman-কে নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে তিনি Homosexual নাকি Bisexual এসব নিয়ে। এখন এ ব্যাপার মুখ্য হিসেবে মনে করে যদি তার কবিতা পড়া না হয় তাহলে ইংরেজি সাহিত্যের একটা বড় অংশ জানা হবে না। নারীবাদী লেখিকা VirginiaWoolf নিজে স্বীকার করেছেন আরেক প্রসিদ্ধ নারী লেখক Vita Sackville-West এর সঙ্গে তার সমকামিতা সম্পর্কে। বিস্ময়কর হলেও সত্য, এই সমকামী সম্পর্ক তিনি চালিয়ে গেছেন নিজের ঘরে তার স্বামীকে রেখেও। আর এভাবেই তার ভালোবাসা Vita Sackville-Wes-কে নিয়ে তিনি লিখে ফেললেন তার প্রসিদ্ধ উপন্যাস Orlando: A Biography। সালমান রুশদি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে যে The Satanic Verses লিখেছেন সেটা মাথায় রেখে যদি রুশদির লেখা না পড়ি তাহলে বিশ্বসাহিত্যের একটা অংশ পড়া হলো না!

ভার্জিনিয়া উলফ কিংবা হুইটম্যানের মতো এরকম অনেক লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে তাদের লেখকসত্তা মিলিয়ে সেই লেখককে বিচার করলে অনেক প্রখ্যাত লেখককে হয়তো আমরা পড়তে পারব না। যে কোনো কিছু বাতিল করে দেওয়ার আগে তা পড়ে দেখা দরকার। সাহিত্যের পরিপূর্ণ রস আস্বাদন করতে হলে যে মুহূর্তে একটা বই হাতে নেওয়া হয় সে মুহূর্তে ভুলে যেতে হবে তার লেখকের কথা। হুমায়ূন আহমেদের লেখা কোনোভাবেই তার ব্যক্তিগত জীবন দিয়ে মাপা যাবে না। সাহিত্যিক মূল্য দিয়েই তা মাপতে হবে। আর সাহিত্যিক মূল্য দিয়ে মাপতে গেলেই তার লেখা বাংলাসাহিত্যে একটা নির্দিষ্ট জায়গা দখল করে নেবে। হুমায়ূন আমাদের বাংলাসাহিত্যে কিংবা বাঙালি জাতীয় জীবনে এমন মহীরুহ হয়ে আছেন যে, তাকে ছাড়া বাঙালি জীবন কল্পনা করা যায় না। প্রখ্যাত আমেরিকান সাহিত্যিক এমারসন তার Self- Reliance প্রবন্ধে লিখেছিলেন, An institution is the lengthened shadow of one man. আজকে কুমিল্লার ইঅজউ মানে আখতার হামিদ খান। তেমনি, নুহাশ পল্লী মানে হুমায়ূন আহমেদ। মিসির আলী কিংবা হিমু মানে হুমায়ূন আহমেদ। আজকে এই পর্যায়ে এসে মনে হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদ কেবল একজন লেখকের নাম নয়।

হুমায়ূন আহমেদ একটা প্রতিষ্ঠান। আমার এক শিক্ষক প্রায় সময় ক্লাসে আফসোস করে বলতেন : ইশ! জীবনানন্দের কবিতা অনুবাদ হলো না ভালোভাবে। বিশ্ব দরবারে যেতে পারল না। যদি পারত, তাহলে জীবনানন্দকে পাঁচটা নোবেল পুরস্কার দেওয়া যেত। আমাদের বাংলাসাহিত্যের অন্যতম বড়দুর্বলতা এটাই। বিশ্ব দরবারে পৌঁছানোর মতো ভালো মাপের অনুবাদ হচ্ছে না অনেকের লেখা। যদি হতো তাহলে বাংলাসাহিত্য বিশ্ব আসরে অন্যতম স্থান দখল করে নিত যেখানে হুমায়ূন আহমেদের নাম জ্বলজ্বল করত।

হুমায়ূন আহমেদের সর্বশেষ লেখা আমি পড়েছি দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে বসে কেমোথেরাপি নেওয়ার সময় তার লেখা অনেকটা আত্মজীবনীমূলক ‘নিউইয়র্কের আকাশে ঝকঝকে রোদ’ বইটি। প্রথম আলোতে এটা কিস্তি আকারে প্রকাশ হচ্ছিল তখন। আমি পত্রিকায় পড়তাম। পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ হওয়ার পর এটা আমি আবার কিনে পড়লাম। তার জীবনের ঘটে যাওয়া অনেকগুলো ব্যাপার নিয়ে তিনি লিখেছেন এই বই। আমি খুব বিস্মিত হয়েছি পড়ে একজন লেখক তার লেখালেখির প্রতি কি পরিমাণ অনুরক্ত এবং দায়িত্বশীল হলে এত বড় ব্যাধি শরীরে নিয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েও নিউইয়র্কে চিকিৎসা করতে যাওয়ার সময় একটা আলাদা স্যুটকেসে করে লেখালেখির সরঞ্জাম (কলম, কাঁচি, অভিধান এবং কিছু রেফারেন্স বই) নিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন তার কবিতায় যখন তিনি লিখলেন ‘মরণরে, তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান’। নিউইয়র্কে বসে লেখালেখির আড়ালে হুমায়ূন আহমেদ আসলে মৃত্যুকেই আলিঙ্গন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলন তার লেখনীর মাধ্যমে! নিউইয়র্কে পৌঁছে পুত্র নিষাদসহ স্যুটকেস খোলার সঙ্গে সঙ্গে যখন দেখলেন ‘অসম্ভব প্রাণশক্তির এক তেলাপোকা’ সুদূর বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে চলে এসেছে এবং বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মারা গেল তখন হুমায়ূন আহমেদের উপলব্ধি, ‘দীর্ঘ ভ্রমণ চমৎকারভাবে শেষ করে সে মৃত’। ক্যান্সারক্রান্ত হুমায়ূন নিজের জীবনের সুন্দর ভ্রমণের চমৎকার সমাপ্তি কি গভীরভাবেই না উপলব্ধি করলেন তখন! মৃত্যুকেই সুন্দরভাবে আলিঙ্গন করতে পেরেছিলেন বলেই হয়তো তিনি বলতে পেরেছিলেন, ‘কঠিন ব্যাধি শরীরে নিয়ে আনন্দ পাওয়া বিস্ময়কর ব্যাপার’।

প্রতিভা ভালোভাবে বিকশিত হওয়ার আগেই মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন। এই একটা ক্ষেত্রে হুমায়ূন আহমেদ ব্যতিক্রম। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জীবনের বর্ণিল সুধা সুন্দরভাবে পান করে গেছেন। মৃত্যুতে ও তিনি বীরবিক্রমে মৃত্যুকে পরাজিত করে গেছেন। তার শবযাত্রায় যে শত শত যুবক হলুদ পাঞ্জাবি পরে তাকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন এর চেয়ে বড় সার্থকতা একজন লেখকের জন্য আর কি হতে পারত!

 

 
Electronic Paper