বছর পার হতে চলল বরিশালের আবুল বিয়ে করেছে। আবুলের বন্ধু মফিজ রংপুর থেকে বেড়াতে এলো আবুলের বরিশালের বাসায়। বিকালে দুই বন্ধু ঘুরতে গেলো ঐতিহাসিক বেলস পার্কে। পার্কের সবুজ ঘাসে বসে দুই বন্ধু বাদাম খাচ্ছে আর নিজেদের সুখ-দুখের কথা বলছে-
মফিজ : হ্যাঁ রে আবুল। বিয়ে করলি ১ বছর হলো- তা বউর সাথে কেমন কাটছে? সম্পর্ক কেমন?
আবুল : আরে দোসত- আর কইস না। বউয়ের সাথে ‘আপত্তিকর সম্পর্ক’ চলছে।
মফিজ : বলিস কী দোসত! বিবাহিত বউয়ের সাথে ‘আপত্তিকর সম্পর্ক’ এটা কেমন কথা? ধর্মীয় রীতিতে বৈধ বিয়া। সম্পর্ক আপত্তিজনক হবে কেন?
আবুল : আমার সব কাজেই বউয়ের আপত্তি।
মফিজ : একটু খুলে বল তো দোসত।
আবুল : আরে তোর ভাবি তার বোন মানে আমার শালীকে বাসায় রাখতে চায়। আমার বাসায় থেকে নাকি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। আমি বললাম ছোট বাসা-আমার ইনকামও কম। এই সময় না রাখলে চলে না? রেগেমেগে তোর ভাবি মুখঝামটা দিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করল। সেদিন বললাম টাকা-পয়সা কম, মাস শেষ, কিছু গুঁড়া মাছ আনি? তাতেও তার আপত্তি। গুঁড়া মাছ কুটতে পারবে না। এক দিন বললো তার ২ ভরি ওজনের সোনার হার দরকার। দিতে পারিনি তাই তার চরম আপত্তি। ৩ দিন আমাকে খাটে ঘুমাতেই দেয়নি। মোবাইলে তোর ভাবি সারাদিন তার ভাই-বোন, মা-বাবা, খালাতো বোন, মামাতো ভাই, চাচা-খুড়ার সাথে ব্যস্ত। বললেই চরম আপত্তি তার। বাসায় এসি নাই, ওয়াশিং মেশিন নাই তা নিয়ে প্রতিদিনই আপত্তিকর মন্তব্য। এমনকি আমাকে আলাদা জায়গায় রাতে শুতে হয়। কোথায় যাই বলতো খাইতে-বইতে, শুইতে সব জায়গায় বউয়ের আপত্তি। এই- এত আপত্তি নিয়ে আর কতদিন চলা যায়। সম্পর্কই বা কয়দিন টিকবে জানি না।
কেকে/ এমএস