ঢাকা সিটি করপোরেশন দুই ভাগ করায় সমস্যা হয়ে গেল দুই কুত্তার। একজন পড়ল উত্তর সিটি করপোরেশনে আর অন্যটা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায়। এক মাস পর এই দুই বন্ধু কুত্তার দেখা। উত্তরেরটা অনেক মোটাতাজা হয়ে গেছে কিন্তু দক্ষিণেরটা আরো শুকিয়ে গেছে।
উত্তরের কুত্তা দক্ষিণের কুত্তাকে বলছে : তুই তো না খেতে পেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছিস। উত্তরে চলে আয়। গুলশান, বনানী, উত্তরায় বড়লোকদের বাস। এখানে অনেক খাবার, তুই অনেক মোটা হয়ে যাবি। না খেয়ে মরতে হবে না।
দক্ষিণের কুত্তা : না। উত্তরে যাব না।
উত্তরের কুত্তা : কেন?
দক্ষিণের কুত্তা : আমি অপেক্ষায় আছি।
উত্তরের কুত্তা : কিসের অপেক্ষা?
দক্ষিণের কুত্তা : আছে তা এখন বলা যাবে না। তুই ফাঁস করে দিবি। ফেসবুকে তুই পোস্ট দিলে আমার মানসম্মান একেবারে পাংচার হয়ে যাবে।
একমাস পর আবার দুই কুত্তার দেখা। এবার দক্ষিণের কুত্তাটা আরো শুকিয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও সে উত্তরে যাবে না। শুধু বলে সে অপেক্ষায় আছে।
আরো এক মাস পর তাদের আবার দেখা। দক্ষিণের কুত্তাটার অবস্থা একেবারে মরমর।
উত্তরের কুত্তা বলছে : হয় এইবার তুই আমার সঙ্গে উত্তরে আসবি। না হয় ক’ তুই কিসের অপেক্ষায় আছিস।
দক্ষিণের কুত্তা : তাইলে শোন। ওই যে সাদা বাড়িটা দেখছে। ঐখানে একটা সুন্দর নতুন বৌ আসছে। সে রান্নাবান্না ভালো জানে না। বড়লোকের মেয়ে। গুলশান তার বাপের বাড়ি। এক দিন তরকারিতে লবণ বেশি দিয়েছিল। তখন তার জামাই বলছে ‘আর এক দিন যদি তরকারিতে লবণ বেশি হয়- তরে আমি কুত্তা দিয়া চাটামু।’ আমি অপেক্ষায় আছি আবার কবে তরকারিতে লবণ বেশি দেবে সুন্দরী বউটা। কারণ ওই বউটার উপরে আমার অনেক মায়া জমে গেছে।
কেকে/ এমএস