দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনায় নতুনত্ব আনতে চট্টগ্রামের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল ও পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালের জন্য পৃথক দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। ডেনমার্কভিত্তিক এপিএম টার্মিনালস চট্টগ্রামে ৩০ বছরের কনসেশন চুক্তির আওতায় বিনিয়োগ ও পরিচালনা করবে, আর সুইজারল্যান্ডভিত্তিক মেডলগ ২২ বছরের জন্য পানগাঁও টার্মিনাল পরিচালনায় যুক্ত হচ্ছে। এই উদ্যোগ দেশের বন্দর অবকাঠামোকে আধুনিক ও দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অভ্যন্তরীণ লজিস্টিকস ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো বলে মনে করছেন সরকার। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দরের এলসিটি উন্নয়ন প্রকল্প ও পানগাঁও নৌ-টার্মিনাল পরিচালনা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সরকারের মতে, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) কাঠামোর আওতায় এপিএম টার্মিনালসের মতো অভিজ্ঞ ও বিশ্বমানের অপারেটর যুক্ত হওয়ায় দেশের বন্দরে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, দ্রুততর কনটেইনার হ্যান্ডলিং এবং আন্তর্জাতিক মানের লজিস্টিক সুবিধা নিশ্চিত হবে। এর ফলে বন্দরসেবা আরও প্রতিযোগিতামূলক, দক্ষ এবং বিনিয়োগবান্ধব হয়ে উঠবে, পাশাপাশি বন্দর ব্যবস্থাপনাও নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, এলসিটি প্রকল্পের নকশা, অর্থায়ন, নির্মাণ ও পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে এপিএম টার্মিনালস, যদিও বন্দরটির মালিকানা থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) অধীনে। একই অনুষ্ঠানে ঢাকার কাছে অবস্থিত পানগাঁও নৌ-টার্মিনাল পরিচালনার জন্য ২২ বছরের একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। দেশীয় কনটেইনার পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই টার্মিনালে বিদেশি অপারেটর যুক্ত হওয়ায় দক্ষতা, কার্গো মুভমেন্ট এবং নদীপথে পণ্য পরিবহনের সামগ্রিক সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বৈশ্বিক বাণিজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের এই উদ্যোগকে আগামী দিনের অর্থনীতি ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনায় একটি গেমচেঞ্জার হবে। ডেনমার্কভিত্তিক এপিএম টার্মিনালস-এপি মোলার-মেয়ার্স্ক গ্রুপের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম বন্দরে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল বাস্তবায়নে ৫৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছে। এটি দেশের সবচেয়ে বড় ইউরোপীয় বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং অন্যতম বৃহৎ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্প।
প্রকল্পটি ৩০ বছরের কনসেশন চুক্তির আওতায় সম্পূর্ণ বেসরকারি মূলধন বিনিয়োগে বাস্তবায়িত হবে- যেখানে সরকারের জন্য কোনো ঋণের বোঝা থাকবে না। পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি নির্মাণ, অর্থায়ন ও পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব বেসরকারি অংশীদারদের উপর থাকবে।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লকে রাসমুসেন ভার্চুয়াল বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে মেয়ার্স্ক-এর অংশীদারত্ব দীর্ঘদিনের এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্কের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। বর্তমানে বাংলাদেশে আসা-যাওয়া সমস্ত কনটেইনারের প্রায় ৩০ শতাংশ পরিচালনা করে মার্স্ক। লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে মেয়ার্স্ক-এপিএম টার্মিনালস-এর এই বিনিয়োগ একটি বাস্তব ও টেকসই অংশীদারত্বের শক্তিশালী প্রতীক, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের প্রতি গভীর আস্থার প্রকাশ।’
এপিএম টার্মিনালস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিথ স্বেন্ডসেন বলেন, ‘এই গ্রিনফিল্ড প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা স্থানীয় ম্যানুফ্যাকচারার, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের কার্যক্রমে সক্রিয় সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারব। পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে ভবিষ্যতের সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মোনিরুজ্জামান বলেন, ‘এখনই আমাদের সর্বোচ্চ দক্ষতা ও ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজন। চট্টগ্রাম একটি নদী ও ফিডার বন্দর হওয়ায় লজিস্টিক্স (যানবাহনের) খরচ অনেক বেশি। প্রতিযোগিতামূলক হতে হলে আমাদের এমন অবকাঠামোর প্রয়োজন যা দ্রুত বাজারে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেয়। এই টার্মিনাল সেই লক্ষ্যপূরণে সহায়ক হবে।’
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ও জটিলতা চট্টগ্রাম বন্দরের সম্ভাবনার পথে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করেছে। লালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে বড় জাহাজ ভিড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে এবং রপ্তানিকারকদের জন্য বন্দর সেবা আরও নির্ভরযোগ্য হবে। মেয়ার্স্কের মতো অভিজ্ঞ অপারেটরের আগমন আমাদের দৈনন্দিন সমস্যাগুলোর বাস্তব সমাধানে সহায়তা করবে।’
পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্প প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে পিপিপি এখন কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। আমরা একটি বিশ্বমানের টার্মিনাল ও পোর্ট পেতে যাচ্ছি, এবং এর জন্য সরকারকে কোনো ঋণ নিতে হয়নি। লালদিয়া টার্মিনাল চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। এই ধরনের প্রকল্প আমাদের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস উভয়ই তৈরি করে।’
অন্যদিকে, অভ্যন্তরীণ লজিস্টিকস খাতে নতুন অগ্রগতি হিসেবে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডভিত্তিক মেডলগ আগামী ২২ বছর ঢাকার অদূরে অবস্থিত পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল (পিআইসিটি) পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। দেশের নদীপথভিত্তিক কনটেইনার পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ এই টার্মিনালটি মেডলগের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় আরো গতিশীল ও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পিআইসিটি দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাকে আধুনিক ও সমন্বিত করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এবং মেডলগকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিবহন নেটওয়ার্কের একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম পানগাঁও টার্মিনাল পরিদর্শনে যাই, তখন দেখি- এটি অত্যন্ত সুন্দর একটি স্থাপনা, অত্যন্ত সুন্দর একটি টার্মিনাল। কিন্তু আমাকে জানানো হলো, এটি প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। কারণ মানুষ এখানে আসতে আগ্রহী ছিল না। প্রথমত, লজিস্টিক সমস্যার কথা বলা হলো। দ্বিতীয়ত, ভাড়ামূল্য বা ফ্রেইট সংক্রান্ত জটিলতার কথা উল্লেখ করা হলো। তৃতীয়ত, আমদানিকারকদের অনেকেই বললেন, এফওবি শর্তে পণ্য আসে, কিন্তু গন্তব্যস্থল হিসেবে পানগাঁও উল্লেখ করাটা কঠিন। ফলে অনেক সময় অসুবিধা তৈরি হয়।
তিনি বলেন, এসব নেতিবাচক বাস্তবতা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছিল- এত ভালো একটি টার্মিনালের ভবিষ্যৎ কী? কীভাবে আমরা পানগাঁওকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারি? ঠিক তখনই আমরা মনে করেছি- এখানে শিপিং লাইন, অপারেটর ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের নিয়ে একটি সমাধান তৈরি করতে হবে। আজকের এই চুক্তি সেই পথচলার একটি বড় সাফল্য।
মেডলগ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.টি.এম. আনিসুল মিল্লাত বলেন, ‘পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনালটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বৃদ্ধি এবং লজিস্টিক্স দক্ষতার ক্ষেত্রে নতুন মান গড়ে তোলার অপরিসীম সম্ভাবনা রাখে। মেডলগের বিশ্বব্যাপী দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এবং আমাদের কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে, আমরা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারব এবং অভ্যন্তরীণ লজিস্টিকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এ অঞ্চলের শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে পারব।’
তিনি আরো বলেন, ‘মেডলগের পরিচলানাগত উৎকর্ষতা, প্রযুক্তি ও বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে প্রকল্পটি বাণিজ্যিকে উজ্জীবিত করবে, সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করবে এবং বাংলাদেশি লজিস্টিক্স খাতকে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক পর্যায়ে উন্নীত করবে।’
চট্টগ্রামের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে ডেনমার্কভিত্তিক এপিএম টার্মিনালস প্রায় ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে, যা বাংলাদেশে এককভাবে সর্ববৃহৎ ইউরোপীয় ইক্যুইটি বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হচ্ছে। পুরো কনসেশনের মেয়াদে এই বিনিয়োগের পরিমাণ ৮০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি হতে পারে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বন্দরটির কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা প্রতি বছর ৮ লক্ষাধিক টিইইউ বৃদ্ধি পাবে, যা বর্তমান ক্ষমতার তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি। রাজস্ব ভাগাভাগির মাধ্যমে সরকারের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) আয়ও বাড়বে।
নির্মাণ ও পরিচালনা পর্যায়ে ৫০০-৭০০ সরাসরি কর্মসংস্থান এবং ট্রাকিং, গুদামজাতকরণ ও স্থানীয় লজিস্টিকস খাতে কয়েক হাজার পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এপিএম টার্মিনালস আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা, হেলথ ও পরিবেশ নীতি অনুসরণ করবে এবং বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো আধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নীত হবে।
দ্রুত জাহাজ টার্নঅ্যারাউন্ড এবং কম অপেক্ষার সময়ের মাধ্যমে রপ্তানিকারকরা সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবে, যা পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও হালকা প্রকৌশল খাতের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান শক্তিশালী করবে। একই সঙ্গে দেশের প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের দক্ষতা বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক প্রবাহ বৃদ্ধি এবং সবুজ, জলবায়ু-সহনশীল বন্দর অবকাঠামো গঠনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্বমানের দীর্ঘমেয়াদি কনসেশন চুক্তি বাংলাদেশে পিপিপি খাতের বিশ্বাসযোগ্যতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ, পরিবহন ও সামাজিক অবকাঠামো খাতে নতুন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে।
এ ছাড়া মেডলগ এসএ তার স্থানীয় প্রতিষ্ঠান মেডলগ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম, সরবরাহ ও অটোমেশন তত্ত্বাবধান করবে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ লজিস্টিক্সকে উন্নত এবং টেকসই করার পাশাপাশি আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
টার্মিনালের বার্ষিক হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ১ লাখ ৬০ হাজার টিইইউতে উন্নীত হবে। মাল্টিমোডাল সংযোগ জোরদার করতে মেডলগ অভ্যন্তরীণ বার্জ ভাড়া করবে, যা বৃহৎ পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও রিফার যানবাহনের মাধ্যমে অতিরিক্ত সরবরাহ চ্যানেলও তৈরি হবে, যা লিড টাইম নিশ্চিত করে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য সহায়ক হবে।
টার্মিনালে দুটি মোবাইল হারবার ক্রেন, রিফার কানেকশন, ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ, খালি কন্টেইনার স্টোরেজ, মেরামত ইয়ার্ড এবং ১০ হাজার বর্গমিটার বিস্তৃত কন্টেইনার ফ্রেইট স্টেশনসহ আধুনিক সুবিধা থাকছে। টার্মিনাল-সংলগ্ন জমিতে তুলা গুদামজাতকরণ ও ড্রাই স্টোরেজ ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থা করা হবে।
ডিজিটাল ইন্টিগ্রেশন এবং বাণিজ্য সুবিধা হিসেবে, টার্মিনাল ফিল অব লেডিং সুবিধা প্রদান করবে, যা একক নথির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বন্দর থেকে পানগাঁওয়ে পণ্য পরিবহন সম্ভব করবে। শুল্ক ছাড়পত্র দ্রুততর করতে টার্মিনাল গ্রিন চ্যানেল উদ্যোগেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
কেকে/এআর